রোজিনা সুলতানা রোজি, বাগমারা-রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারায় চলতি মৌসূমে পাটের ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। পাটের উৎপাদন ভাল হলেও আশানুরুপ দাম পাবেন বলেও আশাবাদি উপজেলার পাটচাষীরা।
জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় কমে যাওয়া পাটের চাষ প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময় ব্যাপক হারে পাটের চাষ করা হলেও গত প্রায় দশ বছর থেকে নানা কারনে পাটের আবাদ করা থেকে বিরত ছিল কৃষকরা। অনেকে মনে করেন পলেথিন জাতীয় জিনিসের কদর বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে পাটজাত দ্রব্যাদির ব্যবহার কমে গিয়েছিল। বর্তমানে পলেথিনের ব্যবহার সরকারী ভাবেই নিষিদ্ধ হবার কারনে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট বর্তমানে দুই হাজার থেকে দুই হাজার পাঁচশ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারায় চলতি মৌসূমে একহাজার আটশ পাঁচ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ করা হয়েছে। পাটে তেমন কোন পোকা-মাকড়ের উপদ্রব দেখা না দেয়ায় এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টির পানি হবার কারনে পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে। কৃষকরা জানান, এখন পর্যন্ত পাটের বাজার দর ভাল আছে। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানা গেছে। পাটের বাজারদর ভাল থাকলে কৃষকরা আর্থিক ভাবে অধিক লাভবান হতে পারবেন। নরদাশ ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর গ্রামের পাটচাষী আশরাফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন ও সেকেন্দার আলী জানান, তারা এবার গতবারের চেয়ে বেশী জমিতে পাটচাষ করছেন। পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন। একই এলাকার মোসলেম আলী এক বিঘা, সোবহান ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তারা জানান, বপনের পর থেকেই গাছের চেহারা দিন দিন ভাল অবস্থায় ছিল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন ভাল হয়েছে। পাটের বাজারদর ভাল থাকলে অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশা পোষন করছেন তারা। কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি আট থেকে বারো মণ পর্যন্ত পাটের উৎপাদন হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিুবুর রহমান জানান, উপজেলায় পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ভাল থাকায় কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Next Post