বিএনপি কখনোই জামায়াত ছাড়বে না- হানিফ
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এই কমিটিতে যুদ্ধাপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামির সন্তান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত এবং জঙ্গিবাদ লালন-পালনকারীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। এরা আদর্শগতভাবে এক ও অভিন্ন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি কখনোই জামায়াত ছাড়তে পারবে না।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুল্পেুছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় মাহবুবউল আলম হানিফ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্যের ধুয়ো তুলে বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে রক্ষা করতে চায়। কেননা এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা বিএনপি-জামায়াতেরই সৃষ্টি। তাই তারা ধরা পড়লে বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যাবে।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে ইঙ্গিত করে হানিফ বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা দূতিয়ালি করতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এভাবে বিএনপি নেত্রীর আহ্বানে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রত্রিক্রয়ায় অংশ নেওয়ায় জনগণ মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। তার প্রতি অনুরোধ, এপথে পা দেবেন না। কেবল খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য এ ধরনের খেলা থেকে বিরত থাকবেন।’
কাদের সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্য করে হানিফ আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য তাকে আমরা সম্মান জানাতে চাই। কিন্তু এদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি প্রমাণিত। যুদ্ধাপরাধীর দোসর ও তাদের লালন-পালনকারী খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলে রাজনীতি করাতে চাইলে তার (কাদের সিদ্দিকী) সম্পর্কে জনগণের অন্যরকম ধারণার সৃষ্টি হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর জাতি যখন জঙ্গি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ তখন কিছু রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা মনে করছে। তাই একটি রাজনৈতিক দল যাদের কোন অস্তিত্ব নেই,তারা আবার দূতিয়ালির ভূমিকা পালন করছে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনের সঙ্গে বৈঠকও করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গুলশানে ১৭জন বিদেশি নাগরিক হত্যার মাধ্যমে সরকারকে আঘাত করে সরকার পতনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছেন। এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়েছে,তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড করা তারাও আইনশৃগ্ধখলা বাহিনীর তদন্তে বের হচ্ছে। অচিরেই এই সব হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মাধ্যমে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম আমিন, পঙ্কজ দেবনাথ, মঈনউদ্দিন মঈন,খায়রুল হাসান জুয়েল প্রমুখ।