বিপিএলে চাহিদার শীর্ষে রয়েছেন যারা !
খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ আসর শুরু হবে ৪ নভেম্বর। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর হবে এবারের আসরের খেলোয়াড় ড্রাফট। আর এই খেলোয়াড় ড্রাফটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উত্তেজনা।
সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা সব ফ্রাঞ্চাইজি গুলোর চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। তবে দেশীয় কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভালো করেছিলো বা গত আসরে বিপিএলে নজরকাড়া পারফর্ম করেছিলো কিংবা সদ্য সমাপ্ত হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের পারফরমেন্সে আলোচনায় ছিলো, সেইসব খেলোয়াড়কে পেতে দলগুলো আগ্রহী থাকবে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
গত বছরের বিপিএলে আইকন খেলোয়াড়দের মধ্যে সবার শেষে নেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে। তবে গত আসরের বিপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৩ ম্যাচে ২৭৮ রান করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি দল বরিশাল বুলসকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে নিয়ে যান। এছাড়া সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন রিয়াদ। এশিয়া কাপে তার ব্যাটে ভর করেই ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং এর পাশাপাশি নিয়মিত স্পিন করেন রিয়াদ। তাকে দলে পেলে অধিনায়কত্বের বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হবে না। তাই এবারের আসরে রিয়াদকে পেতে প্রায় প্রতিটি দল মরিয়া থাকবে।
সাব্বির রহমান
বাংলাদেশ বর্তমান জাতীয় দলের সবচেয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। টি-টোয়েন্টির সব গুণ আছে এই ক্রিকেটারের। গত আসরের বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৭৯ রান করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান সাব্বির। ব্যাটিং এর পাশাপাশি ফিল্ডিং এ অনেক দক্ষ সাব্বির। এছাড়া প্রয়োজনে বলও করতে পারেন। বিপিএলের ধারাবাহিকতায় এরপর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন সাব্বির। এপর্যন্ত ২৬ টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাব্বির। তার মধ্যে ২৫ ইনিংসে ব্যাট করে ৩০ গড়ে ৬০৪ রান করেছেন, স্ট্রাইকরেট ১২০। এই মারকুটে ক্রিকেটারের চাহিদা এবার থাকবে আকাশছোঁয়া।
মোশারফ হোসেন রুবেল
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোশারফ হোসেন রুবেল। গত আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। বোলিং এর পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠতে পারেন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজের জন্য ২০ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরমেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এই ক্রিকেটার। তাই, এবারের আসরে রুবেলকে অনেক দল ভেরাতে চাইবে।
আবু হায়দার রনি
গত বছরের বিপিএলে পেস বোলিং এ সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছেন আবু হায়দার রনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১২ ম্যাচেই ২১ উইকেট নিয়েছেন এই ক্রিকেটার। গত আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক কেভিন কুপারের থেকে একটি উইকেট কম পেয়েছিলেন রনি। তবে বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। গত আসরের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হওয়া আবু হায়দার রনি সবগুলো ফ্রাঞ্চাইজি দলের অন্যতম চাহিদায় থাকবে, তা বলাই যায়।
আল-আমিন হোসেন
ইঞ্জুরীতে থাকায় বাংলাদেশের পেস বোলিং সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান এবারে বিপিএল খেলবেন না। মুস্তাফিজুর রহমানের না থাকায় আল-আমিন হোসেন হতে পারেন বিপিএলের চতুর্থ আসরের ‘মোস্ট-ওয়ান্টেড’ পেস বোলার। ডানহাতি এই পেসার গত আসরে খেলেছিলেন বরিশাল বুলসের হয়ে। ১৩ ম্যাচে ৭.৯৩ ইকোনোমিতে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। এছাড়া সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাট্রিক। ২৬ বছরের আল-আমিন চতুর্থ আসরেও এমন কিছু করতে মুখিয়ে আছেন। বর্তমান আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং এ ১৫ নাম্বারে আছেন আল-আমিন হোসেন। নিঃসন্দেহে এবারের আসরে প্রত্যেক দলের পেস বোলিং চাহিদায় প্রথমেই থাকবে আল আমিনের নাম।
উল্লেখ্য, বিপিএলে এবার থাকছে ৭ টি দল। গতবার অংশ না নেয়া রাজশাহী ও খুলনাকে এবারের আসরে দেখা যাবে। অন্যদিকে সিলেটের কোনো দল থাকছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ এই আসরে।