মারামারি নিয়ে মেসির মন্তব্যের জবাব দিলো ব্রাজিল

0 ১২৩
ছবি- সংগৃহীত

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই দুই দলের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের মাঝে বাড়তি উন্মাদনার উত্থান। ২০২৬ বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এ জয়ে ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে লিওনেল মেসির দল। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্রাজিলের মারাকানায় অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর সেই লড়াইয়ের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে মাঠের বাইরের ঘটনা। ম্যাচের ফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন সমর্থকদের দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ লিওনেল মেসি অভিযোগের সুরে বলেছিলেন— খেলার চেয়ে মারামারিতেই ব্রাজিলের মনোযোগ বেশি।

যার জবাবে একটি বিবৃতি দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)। বিবৃতিতে সিবিএফ বলছে, ‘এটি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার যে ম্যাচ আয়োজন ও পরিকল্পনার অত্যন্ত সতর্কতা এবং কৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল সিবিএফ। মাঠে থাকা দুই দলের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল, এমনকি রিও ডি জেনেইরোর সামরিক পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। পুরো ম্যাচের আয়োজন— বিশেষ করে নিরাপত্তার বিষয়টি ঠিক রাখতে আমরা প্রশাসন ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সভায় নির্ধারণ করেছিলাম।’

একইসঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি সিবিএফের হাতে নয়, সামরিক পুলিশের অধীনেই ছিল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে বিবৃতিতে, ‘আমরা আরও নিশ্চিত করতে চাই যে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রমের জন্য রিও জেনেইরোর সামরিক পুলিশ ও স্থানীয় অন্যান্য প্রশাসন দায়ী।’

এদিন ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত চলাকালেই দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করেন ব্রাজিলের কিছু সমর্থক। একপর্যায়ে দুই পক্ষের দর্শকদের সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ লাঠিচার্জের আশ্রয়ও নিয়েছিলেন। ব্রাজিলের দাঙ্গাপুলিশের এমন মারমুখী আচরণ ভালোভাবে নেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

করেন। ব্রাজিলিয়ানদের সরাসরি কটাক্ষ করে মেসি বলেন, ‘আমরা দেখেছি পুলিশ কিভাবে মানুষের ওপর চড়াও হচ্ছিল। আমাদের পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও ওখানে ছিল। কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনালেও একই কাজ করেছে তারা (ব্রাজিলের পুলিশ)। মাঠে খেলার চেয়ে সেসবেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে।’

মেসি আরও বলেন, ‘আমরা একটা পরিবার। পরিস্থিতি শান্ত করতেই আমরা ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ রাতে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। কিন্তু এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ম্যাচ আরও একবার আর্জেন্টাইনদের প্রতি ব্রাজিলিয়ানদের মনোভাব চিহ্নিত করে দিবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.