সোহেল রানা, নাটোর প্রতিনিধি: মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সব দল ব্যক্তিব্যস্ত হয়ে পড়লেও দেশের কৃষক খেতমজুরের কোন মাথাব্যাথা নাই। তারা দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে না, দেশের শিক্ষা বাদ দিয়ে বিদেশে ছেলে-মেয়েদের পড়ায় না। তারা উদ্বিগ্ন বাজেটে কৃষকের জন্য কি আসছে। আইএমএফ-এর শর্ত মেনে কৃষিতে ভর্তুকি তুলে নেয়া হবে কিনা।
ইতিমধ্যে জ্বালানির দাম বেড়েছে, সারের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা যে এত কষ্ট করে দেশের মানুষের জন্য খাবার উৎপাদন করছে, সেই ধান-চাল, পিয়াজ-সবজির দাম তারা পাবে কিনা। পার্লামেন্টে এ নিয়ে কেউ কথা বলবে কিনা। কারণ ৬২% ব্যবসায়ীর পার্লামেন্টে কৃষক-খেতমজুর-গরিব মানুষ, গ্রামের মানুষের কথা হয় না। হয় কেবল দলের কথা, নেতা-নেত্রীর কথা। আর এ কারণেই কৃষকসহ সাধারণ মানুষ নির্বাচন-পার্লামেন্ট নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সংসদকে অর্থবহ করতে হলে সেখানে কৃষক- খেতমজুরের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেল কানাইখালী পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডে জাতীয় কৃষক সমিতির ৭ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি জননেতা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি একথা বলেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল মজিদ, উত্তরবঙ্গ চিনিকল আখ চাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, নাটোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লোকমান হোসেন বাদল, নাটোর জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ। সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় কৃষক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক দিপংকর সাহা দিপু।