![](https://bdsangbad24.com/wp-content/uploads/2023/02/meksiko-750x430.jpg)
মেক্সিকোতে নির্বাচনি সংস্কারের বিরুদ্ধে লাখো জনতার বিক্ষোভ
![](https://bdsangbad24.com/wp-content/uploads/2023/02/meksiko-300x169.jpg)
নির্বাচনি কর্তৃপক্ষকে দুর্বল করার সরকারি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে মেক্সিকোর বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। গতকাল রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশটি ছিল রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে। আয়োজকরা বলছেন পাঁচ লাখ লোক শহরের প্রধান প্লাজায় মিছিল করেছে। তবে স্থানীয় সরকার এই সংখ্যা ৯০ হাজার বলে জানিয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক জোকালো স্কোয়ারে জড়ো হয়েছিল জনতা। বিক্ষোভকারীদের অবস্থান শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে আশেপাশের রাস্তাতেও ছড়িয়ে পড়ে। খবর বিবিসির।
মেক্সিকোর আইনপ্রণেতারা গত সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনি ইনস্টিটিউটের (আইএনই) বাজেট কমানোসহ এর লোকবল কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর আইএনইয়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন।
মেক্সিকোর সিনেট গত বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষে ভোটের পর এই সংস্কার অনুমোদন করেছে। রাষ্ট্রপতি লোপেজ ওব্রাডোর এতে স্বাক্ষর করলে সংস্কার কাজ কার্যকর হবে।
কিন্তু বিরোধীরা সাম্প্রতিক এই ভোটকে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করে সুপ্রিম কোর্টকে তা অসাংবিধানিক বলে বাতিল করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।
বিবিসির মেক্সিকো সংবাদদাতা উইল গ্রান্ট জানিয়েছেন, এটি সম্ভবত বর্তমানে মেক্সিকোর সবচেয়ে বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যু।
লোপেজ ওব্রাডর আগের দুটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ২০১৮ সালে জুলাই মাসে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘকাল ধরে তিনি আইএনই-এর সমালোচনা করছেন।
গত মাসে লোপেজ ওব্রাডর স্বাধীন এই নির্বাচন তদারকি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আইএনই-এর কর্মীরা ‘বাক্সে ব্যালট ভরাট করা, (নির্বাচনের) ভুয়া রেকর্ড এবং ভোট কেনার’ মতো বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখেন না।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম প্রচেষ্টায় ২০০৬ সালে লোপেজ ওব্রাডর তার রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বি ফেলিপ ক্যালডেরনের কাছে এক শতাংশেরও কম পয়েন্টে হেরে যান। কয়েক মাস ধরে তিনি ফলাফল গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে একে প্রতারণামূলক বলে নিন্দা করেছিলেন। তিনি ২০১২ সালের নির্বাচনের ফলাফলকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, যখন তিনি এনরিক পেনা নিয়েতোর কাছে হেরেছিলেন।
২০১৮ সালে তার জয়ের পর থেকেই লোপেজ ওব্রাডর আইএনই-এর সংস্কারের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন যে এই সংস্কার প্রক্রিয়া সংস্থাটির লোকবল কমিয়ে বছরে করদাতাদের ১৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে।