মোদির মাথা ন্যাড়া করে কালি মাখালে নগদ ২৫ লাখ পুরস্কার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কলকাতার ইমামের ঘোষণা মোদির মাথা ন্যাড়া করে কালি মাখালে নগদ ২৫ লাখ পুরস্কার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাথা ন্যাড়া করে দাড়ি মুড়িয়ে কালি মাখিয়ে দিতে পারলে তাকে ২৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন কলকাতার ঐতিহ্যবাহী টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম মাওলানা নূরুর রহমান বরকতি। শনিবার কলকাতা প্র্রেস ক্লাবে তৃণমূল এমপি ইদ্রিস আলী এবং অন্যদের পাশে বসিয়ে ওই ঘোষণা দেন মাওলানা বরকতি। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই শূরা এবং অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরাম আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা নূরুর রহমান বরকতি বলেন, নোট (৫০০/১০০০ রুপি) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ‘পাপ’ করেছেন সেজন্য ওই শাস্তির ফতোয়া দেয়া হয়েছে। তাকে দাড়ি কেটে মাথা ন্যাড়া করে কালি মাখিয়ে দিতে পারলে মাইনরিটি ফান্ড থেকে ওই ব্যক্তিকে ২৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ‘পাপী’ বলেও অভিহিত করেন।
ভারতের মানুষ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলেও মাওলানা বরকতি মন্তব্য করেন। ‘মমতা লাও, মোদি হঠাও-দেশ বাঁচাও’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই শূরা এবং অল ইন্ডিয়া মাইনরিটি ফোরামের পক্ষ থেকে যৌথ এক প্রেস বিবৃতিতে প্রকাশ, মাওলানা বরকতি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে থাকার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।’ তার মতে, ‘নরেন্দ্র মোদির দাড়ি রাখা একটা ভণ্ডামি। যারা দাড়ি রাখেন তারা সাধারণত ধর্মীয় পণ্ডিত হন।’
মাওলানা নূরুর রহমান বরকতির মন্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইনিই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পাথর ছোড়ার কথা বলেছিলেন। এখন তো কুলের সময় চলছে। একটা কুল ছুড়েও তো দেখাতে পারেননি। যিনি বাংলা বলতে জানেন না, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই- তার মন্তব্যকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না।’
বাংলার কোনো মুসলিমরা উনাকে নেতা বলে মনে করেন না বলেও শমীক ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন। কিছু দিন আগে নোট বাতিল ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে যে আন্দোলন করেছিলেন সে প্রসঙ্গে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলেই তাকে (মমতাকে) চুলের মুঠি ধরে সরিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই কোনো বিরোধিতা করিনি।’
ওই ঘটনাতেও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মাওলানা বরকতি। তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ যে কাজ করেছেন ইসলামের চোখে তা শয়তানের কাজ। শয়তানকে দেখলে পাথর ছোড়ার বিধান রয়েছে।’ দিলীপ ঘোষকে দেখলে পাথর ছোড়ার নির্দেশ দেন তিনি। দিলীপ ঘোষ অবশ্য এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটা ভারত। পাকিস্তান বা বাংলাদেশ নয়। ওই সব ফতোয়া উনি মমতাকে দিন।’ সূত্র-লেটেস্টবিডিনিউজ.কম