বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষপ্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্ছনার ঘটনায় আরো চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে মহানগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। তবে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি শেখ মো গোলাম মোস্তফা বলেন, আটককৃতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। সিসিটিভির ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতেও পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে পলিটেকনিক ইন্সটিউটের শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা আন্দোলনকারীদের ফোনে ও ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এই কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
এদিকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঢাকা থেকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পলিটেকনিক ইন্সটিউটি পৌঁছেছে। আজ সকাল থেকেই তারা ইন্সটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পুকুরের পানির গভীরতাও পরিমাপ করেছেন। এছাড়া ইন্সটিউটের ১১১৯ নম্বর কক্ষে অবস্থিত ছাত্রলীগের টর্চার সেলও পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, এখনো আমরা তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। সবার সাথে কথা বলে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।
এদিকে ছাত্রলীগ পলিটেক ইন্সটিটিউট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটিও আজ সোমবার সকালে ইন্সটিটিউটে এসে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন।
তারা দাবি করেছেন, একমাত্র কামাল হোসেন সৌরভ ব্যতিত ছাত্রলীগের আর কোনো নেতাকর্মী হামলার সময় ছিলেন না।
উল্লেখ্য অনুপস্থিতির কারণে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ায় শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে অধ্যক্ষককে ক্যাম্পাসের ভেতরের পুকুরে ফেলে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে সাঁতার জানার কারণে তিনি রক্ষা পান।