রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’ এর  ১১ জন গ্রেপ্তার

0 ৫৪

স্টাফ রিপোর্টার: ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ‘মিজু গ্যাং’ এর মূলহোতাসহ ১১ জন গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা। তারা সবাই জামাত-শিবিরের বিভিন্ন পথ ধারে নেতস কর্মী। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে নগরীর চ›িত্রমা থানার ছোটবোনগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল বুধবার (১৫ মে) র‌্যাব -৫ এর সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং এ র‌্যাব -৫ এর অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় ধারালো হাসুয়া ১৮টি, ধারালো তলোয়ার ৭টি, চাকু ২টি, কাটার হাতল ৩টি, চাইনিজ কুড়াল ১টি, সিমেন্টের ব্লক- ৫৩টি (যাহা হ্যান্ড গ্রেনেড হিসেবে ব্যবহৃত), খেলনার পিস্তল ১টি, মোটরসাইকেল ৩টি, মোবাইল ১২টি উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, আসামিরা “মিজু গ্যাং” এর সদস্য। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমিদখল এবং কোন ব্যক্তি জমি ক্রয়, বাড়ী নির্মাণসহ যে কোন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোন কাজ করতে পারত না। এছাড়াও মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধ ভাবে ছিনতাই করে আসছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিয়ে আসছে। টেন্ডারবাজী ও সরকারি কাজে বাধা দান, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সিপিএসসি, মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশন টিম অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন ধরমপুর পূর্বপাড়া সাকিনাস্থ পলাতক আসামী রমজান (৩০) এর হাফ বিল্ডিং ব্যক্তিগত ক্লাব ঘর হতে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে।

কিন্তু কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য রমজান আলী রাতের আধারে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তারা ডাকাতির পস্তুতির বিষয়টি স্বাক্ষীদের সম্মুখে স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো ২টি স্থান থেকে বিপুল পরিমান ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়। র্যাব-৫ এর অধিনাযক মুনীম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, মিজানুর থেকে মিজু গ্যাং।

তারা টেলিগ্রামে মেসেঞ্জার ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করে। বাসা বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা একই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমিদখল, ছিনতাই, টেন্ডারবাজী, সরকারি কাজে বাধা দান, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়াও রাজশাহী বাগমারার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী শরিফকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার, মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন বহরমপুর এলাকা হতে অপহৃত এক ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দুইজন আসামীকে গ্রেপ্তার, রাজশাহীর চারঘাট থেকে ৩০৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদকব্যবসায়ী তামিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫।

Leave A Reply

Your email address will not be published.