মো: পাভেল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলার চারঘাট থানা ধীন শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের জোয়াদ্দার পাড়া আল জামেয়াতুল আশরাফীয়া মাহমুদুল উলুম মাদ্রাসায় কাউসার আলী নামে এক শিশুকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। শনিবার সকালে এ ঘটনার প্রকাশ পায়। মোঃ কাউছার আলী (৭) বালিয়াঘাটি সোনারপাড়া মোঃ সাইদুর মন্ডলের ছেলে। এই ছেলেটি মাড়িয়া জোয়াদ্দার পাড়া আল জামেয়াতুল আশরাফীয়া মাহমুদুল উলুম মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ করে আসছিলেন।
তিনি গত ১৩-২-২০২৩ তারিখে মাদ্রাসা হইতে বাসায় পলাইয়া চলে আসে তখন তার পিতা-মাতা তাহাকে পুনরায় মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। তারপরের দিন ১৪-০২-২০২৩ তারিখে মাহফিল হয় সেদিন রাতে কাউসার আলী মাদ্রাসার পাশে তার নানীর বাসায় পালিয়ে যায়। এরপরে মাদ্রাসার নাইটগার্ড মোকলেস ও মাদ্রাসার একজন ছাত্র সুমন কাউসারকে ধরে নিয়ে আসে মাদ্রাসায়।
ধরে নিয়ে আসার পরে হাফেজ মোহাম্মদ শাহারুল ইসলাম তাহাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে এবং আহত কাউসার কে বলে তুই যদি এই মারের কথা কাউকে বলিস তাহলে তোকে এর চেয়ে আরো অনেক বেশি শাস্তি বা মারধর করব। ছোট শিশু কাওসার ভয়ে কাউকে কিছু জানায় না।
তারপর গত ১৭-০২-২০২৩ তারিখ রোজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য কাউসার এর নানি যখন জামা কাপড় খুলে গোসল করানোর জন্য নিয়ে যায় তখন দেখে যে শিশুটির গায়ে মারের অনেক দাগ আছে। তখন কাউসারকে জিজ্ঞেস করলে কাউসার বলে তার হুজুর হাফেজ মোঃ সাহারুল ইসলাম তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়াই হাফেজ মোহাম্মদ শাহারুল ইসলাম শনিবার বাসায় পালিয়ে চলে যান। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা বাদ করলে তিনি ঘটনার সমস্ত স্বীকার করেন এবং বলেন মারধরের পরে তাকে কোন চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।এঘটনার জোর দাবি চেয়েছেন ভক্ত ভোগের বাবা-মা সহ এলাকাবাসী। হাফেজ মোহাম্মদ শাহারুল ইসলাম এর সাথে মোঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
মোঃ শাহারুল ইসলাম এর বাসা রাজশাহী গোদাগাড়ী এলাকায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার কমিটি নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন এই বিষয়টি আমরা শুনেছে।এটা আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করেন।