পথসভায় মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে, রাস্তাগুলো চওড়া হয়েছে, সড়ক বিভাজকে ফুল ফোটে, ড্রেন হয়েছে, লাইট লাগানো হয়েছে, নদীরধারে বিনোদনকেন্দ্রের উন্নয়ন করেছি। কিন্তু যেটা হয়নি, সেই কর্মসংস্থান এবার করতে চাই। আমাদের সকলের ছেলে-মেয়েদের কর্মের ব্যবস্থা করা এবার আমার প্রথম দায়িত্ব।
সাবেক সফল মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, করোনা মহামারি কারণে দেড় বছর পৃথিবীর স্থবির হয়ে পড়েছিল। আমরা তেমন উন্নয়ন কাজ করতে পারিনি। সারা পৃথিবীতে একই অবস্থা ছিল। এরপর যখন কাজ শুরু করলাম, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছি, তা দৃশ্যমান।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, পদ্মা নদীকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা দরকার। ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌ বাণিজ্য চালু করতে দুই দেশ একমত হয়েছে। শিগগিরই এটি চালু হবে ইনশাল্লাহ। এটিকে আমি রাজশাহী পর্যন্ত নিয়ে আসতে চাই, এরপর ঢাকা পর্যন্ত। রাজশাহীতে নৌবন্দর করে ভারত থেকে পাথর, ফ্লাই অ্যাশ সহ যখন যেটা প্রয়োজন হবে সেটা আমদানী করা হবে। রাজশাহী থেকে অনেক পণ্য রপ্তানী করা যাবে। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসার হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য, বেড়ানোর জন্য ভারতের কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে যান। সরাসরি বাস ও ট্রেন না থাকায় রোগীদের যেতে অনেক কষ্ট হয়। আগামীতে আমি নির্বাচিত হলে তিন মাসের মধ্যে রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস চালু করতে চাই।
সাবেক রাসিক মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী ইতোমধ্যে দেশের মধ্যে একটি বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। এখন শিল্পায়ন করে আপনার সন্তানদের জন্য উপার্জনের ব্যবস্থা করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। সন্তানদের মুখে হাসি ফুটলে আপনার মুখেও হাসি ফুটবে। রাজশাহীর মানুষ আনন্দের সঙ্গে বসবাস করবে। রাজশাহী উচ্চ মানের একটি শহর হবে, শিক্ষার শহর, পরিবেশবান্ধব শহর, সবুজ শহর, সন্ত্রাসবিহীন শহর, মাদকমুক্ত শহর হয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মাথা উচু করে বাঁচতে চাই। সেই স্বপ্ন আপনাদের দেখালাম, আপনারাও দেখেন।