রাজ-পরীর মারামারি ইস্যুতে মুখ খুললেন তমা মির্জা

0 ২০৮
পরীমণি, পদ্ম, শরিফুল রাজ, ও তমা মির্জা

রাজ-পরীর গত শুক্রবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া নতুন গল্পটা আঁধার না পেরুতেই আলোতে আসে। ভোর হতেই গণমাধ্যমে সংবাদ হয় মারাত্মক জখম হয়েছেন রাজ। তার মাথা ফেটেছে। পাওয়া গেছে রক্তাক্ত ছবিও। অন্যদিকে পরীও মধ্যরাতে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।

গুঞ্জন চাউর হয় এই মাথা ফাটার নেপথ্যে রয়েছে রাজ-পরীর মারামারি। নিকেতনে এক নির্মাতার অফিসে ঝগড়া হয় রাজ-পরীর। একসময় তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে রক্তাক্ত হন রাজ। পরীমণির হাত কেটে যায়। অন্যদিকে তাদের এই ঝগড়া থামাতে গিয়ে আহত হন তমা মির্জা। বিষয়টি নিয়ে রাজ-পরী মুখ না খুললেও অবশেষে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়িকা তমা।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে কেউ কারও হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কি চেক-ইন দেয়? আমি কিন্তু হাসপাতালে ঢুকেই সেটা দিয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সেই মেয়ে, যে স্বামীর হাতের মার খেয়ে ঘর ছেড়েছি। সেটার প্রকাশ্য প্রতিবাদ করার জন্য যা যা করা দরকার করেছি। তো সেই মেয়েটিকে অন্য কারও জামাই এসে মেরে চলে যাবে, আর আমি চুপচাপ হাসপাতালে শুয়ে কাঁদবো—সেটা তো কল্পনাই করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্য স্পষ্ট, রাজ-পরীর মারামারির যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, সেটার আশপাশেও আমি ছিলাম না। ইভেন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজ-পরী বাসা থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোনও করেছে দেখা করার জন্য। আমি বলেছি, আমার জ্বর। আজ দেখা হবে না। এরপর পরী বলল, ওকে বাসায় রেস্ট নাও। কাল দেখতে আসবো। এরমধ্যে কী হলো, আমি আর জানি না।

এদিকে শনিবার (১৯ আগস্ট) ভোরে পরীমণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি দিয়ে জানান, তিনি হাসপাতালে। নিজের ফেসবুকে একটি ছবি প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা গেছে, ক্যানোলা লাগানো দু-হাত। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছে, ‘আমরা পরীতমা।’ চেক-ইন দিয়েছেন একটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম। এ থেকে স্পষ্ট হয় পরীমণি ও অভিনেত্রী তমা মির্জা দুজনেই একই হাসপাতালে।

বিষয়টি খোলাসা করে তমা বলেন, ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর জ্বরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হই। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সবাই জানেন, আমার অ্যাজমাটিক প্রবলেম রয়েছে। কিডনিতেও সমস্যা রয়েছে। ফলে শরীরে যাই হোক, তখন এগুলো জেগে ওঠে। তো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি ওষুধ খেয়ে তো অচেতন অবস্থা। হঠাৎ আম্মু ডেকে ওঠালো, বলল পরী এসেছে। উঠে দেখি পরী হুইলচেয়ারে। সঙ্গে পদ্ম-চয়নিকা বৌদি, নাচের দুটো ছেলেসহ কয়েকজন আমার কেবিনে। পরী বলল, ওর জ্বর এসেছে। তাই চলে এসেছে। এরপর কাশতে কাশতে গল্প করলাম, সেটাই শেষ।

এর আগে একটি অনুষ্ঠানে পরীমণি ও রাজ সন্তান রাজ্যর জন্মদিন উদযাপন করতে কেক কাটেন। তার আগেই বসুন্ধরার বাসা থেকে পরীমণি সন্তানসহ সেখানে যান। অন্যদিকে রাজও যান সেখানে। দুজনের সেখানেই দেখা হয়। পরে এই জুটি একসঙ্গে ছবি তোলেন। যা ফেসবুকে প্রকাশ্যে আসে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সেসব স্থিরচিত্র দেখে সবাই ভেবেছিলেন, নিজেদের মধ্যকার মান-অভিমান ভুলে প্রায় তিন মাস পর এক ছাদের নিচে ফিরছেন পরীমণি ও রাজ। কিন্তু পরে শোনা যায়, ফের রাজ বেরিয়ে এসেছেন পরীমণির বাসা থেকে।

এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে থাকে হাসপাতালে শুয়ে থাকা রাজের ছবি। তারপরই চাউর হয় রাজ-পরীর মারামারির গুঞ্জন। এর সঙ্গে নিজের নাম জড়াতেই মুখ খুললেন তমা।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.