রাবি প্রতিনিধি: নানা আয়োজন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮:৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে শিক্ষক সমিতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, বিভিন্ন হল, বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং অন্যান্য পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালে, বর্তমান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঊর্ধ্বতন পুরুষ ছিলেন শেখ বোরহান উদ্দিন। তাঁর পরিবার ছিল বাংলার আটপৌড়ে মধ্যবিত্ত ও স্বচ্ছল। বিখ্যাত মানুষের ক্ষেত্রে তাদের জীবনে পরিবেশের প্রভাব হয় প্রকট। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি লক্ষ্য করা যায়। ১৯৪২ সালে তিনি যখন কোলকাতায় যান তখন তাঁর মধ্যে দেশ-জাতি-সমাজ সম্পর্কে জানার অসাধারণ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এসময় তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ মুসলিম লীগের অন্যান্য নেতার সংস্পর্শে আসেন ও ক্রমে বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র ধারণায় অনুপ্রাণিত হোন। বাঙালি জাতির জন্য তাঁর চিন্তা-চেতনার কারণে তিনি বার বার কারাবরণ করেছেন। কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে সরে যাননি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এক উদারনৈতিক বাংলাভাষিক জাতিরাষ্ট্র। সে লক্ষ্যে তিনি সফল হয়েছেন কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের ফলেই তা অর্জন সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আরো চেয়েছিলেন একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজ। বাকশাল ছিল সুচিন্তিত চেতনার ফল। তিনি বাঙালি জাতির মনে যে উদার জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন আজও তা বিদ্যমান। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু তাঁর চেতনা অবিনাশী। বঙ্গবন্ধুর উত্তরকালে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা আজ আবার বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের পথে অবিরত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করছে।