![](https://bdsangbad24.com/wp-content/uploads/2023/08/RU-Pic1-15.08.2023-300x189.jpg)
পরে বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগ, রাবি শিক্ষক সমিতি, ক্যাম্পাসের স্কুলসমূহ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজ কর্মগুণে হয়ে উঠেছিলেন অসাধারণ। তাই তিনি জাতির পিতা, দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েও মধ্যবিত্তের মতোই বাস করতেন নিজ বাড়িতে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই বাড়ি থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু তেমন সাড়া পাননি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতীয় শোক দিবস বাঙালি জাতির স্বজন হারানোর দিন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের সবার শোকাবহ দিন। তিনি অধ্যাপক ফকরুল আলমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার দেখা নয়াচীন : বঙ্গবন্ধুর পর্যবেক্ষণ ও আমাদের শিক্ষণীয় শীর্ষক আলোচনা করে আমাদের সকলকেই আলোকিত করেছেন। আমরা হয়তো অনেকেই বইট পড়েছি কিন্তু অনেক বিশ্লেষণের জায়গা ছিলো।
তা আমরা সঠিক সময়ে বুঝে উঠতে পারিনি। অধ্যাপক ফকরুল আমাদের সামনে সহজভাবে তা উপস্থাপন করেছেন। সকলকেই সেই আলোকে আলোকিত করেছেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু সেই সুদূর অতীতের চীনকে দেখেছেন, চীনের সমাজকে দেখেছেন, মানুষকে দেখেছেন। রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কল-কারখানা সবকিছু উনি দেখেছেন। সেই দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মুক্তির কথা ভেবেছেন। যা কিছু ভালো, সেখান থেকে গ্রহণ করে নিজের জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন বঙ্গবন্ধু। একেই বলে একজন রাষ্ট্রনায়কের সুদূরপ্রসারী চিন্তা। আর সেজন্যই তিনি রাষ্ট্রনায়ক, জাতির পিতা, বিশ্বের নিপিড়ীত মানুষের নেতা।
দিবসটি উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে আছে, বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল, বিকেল ৫টায় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে আবৃত্তি, গান ও নাটক পরিবেশন এবং সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বালন ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা।