রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে ইউনিসেফের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাবির প্রকৌশল অনুষদের ৪০৮ নং কক্ষে আয়োজিত ‘সেন্টার ফর সোস্যাল ইনোভেশন এন্ড সাস্টেইনিবিলিটি (সিএসআইএস)’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ডেপেলপমেন্ট ডায়ালগ উইথ ইয়ুথ’ শীর্ষক সভায় এ মতবিনিময় করেন তারা।
সিএসআইএস’র পরিচালক ও রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের রংপুর ও রাজশাহী অফিসের ‘চিফ অফ ফিল্ড অফিস’ এ. এইচ. তৌফিক আহমেদ। ইউনিসেফের রংপুর অফিসের যোগাযোগ কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ, প্লানিং এন্ড মনিটরিং অফিসার সোনিয়া আফরিন, ওয়াশ কর্মকর্তা রুহুল আমিনসহ আরো অনেকে।
সিএআইএস’র গভর্নিং কাউন্সিলের (জিসি) সদস্য ও অধ্যাপক ড. নাজিয়াত হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই সেন্টারের জিসি সদস্য ড. এ. বি. এম. সাইফুল ইসলাম, ড মোজাম্মেল হোসেন বকুল, ড. এ. কে. এম. মাহমুদুল হক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় করোনা টিকার বিষয়ে সচেতনতার কাজে অংশ্রগ্রহণকারী রাবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইউনিসেফের কর্মকর্তাদের সামনে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ফিল্ড অফিসের প্রধান এ. এইচ. তৌফিক তরুণদের নিয়ে কাজ করার বিষয়ে তার আগ্রহের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা সিএসআইএসের মাধ্যমে রাজশাহীতে খরা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে কাজ করতে চাই। শিশু, তরুণ ও নারীদের নিয়ে সেন্টার আরো কাজ করলে ইউনিসেফ পাশে থাকবে।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, কর্মদক্ষতা তৈরির জন্য তাদের নিয়ে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন, সেমিনার করাসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিতে সিএসআইএসের কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
সভায় স্বেচ্ছাসেবীরা মাঠ পর্যায়ে করোনা টিকা নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম, তার আগে এই সেন্টারের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এ. এইচ. তৌফিক তাদেরকে নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে সিএসআইএসের নানা কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে করোনা টিকার বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রমের সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন।