সকাল ৭:৩০ মিনিটে প্রভাতফেরি শেষে হল প্রশাসন, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৮:৩০ মিনিটে নিজ নিজ কার্যালয়ে অফিসার সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন ও পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিিিতর আলোচনা সভা।
সকাল ৯টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুলে এবং সকাল ৯:৩০ মিনিটে রাবি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্যবৃন্দ, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, স্কুল দুটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সকাল ১০টায় সাবাস বাংলাদেশ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বেলা ১২:৩০ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার রাবির শহীদদের পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেন। সেখানে উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অকুতোভয় অবদানে সম্ভব হয় আমাদের স্বাধীনতার অভীষ্ট লক্ষ্য। আত্মদানকারী এসব শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। এই অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।
দিবসের কর্মসূচিতে আরো আছে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রর্থনা। এদিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা আছে।