রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের করা—’কম নম্বর দেওয়ার’ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এস.এম এক্রাম উল্যাহ।
সোমবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ডিনস্ কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ।
লিখিত বক্তব্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের এই ডিন জানান, গত ১৩-০৩-২০২৪ তারিখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট: A এর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, A ইউনিটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি নেই। একটি শক্তিশালী বিশেষজ্ঞ টিম কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ফলাফল যথানিয়মে যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ফলাফল নিয়ে যে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
এসময় ‘এ’ ইউনিটের চারটি গ্রুপ থেকে চারজন পরীক্ষার্থীর ওএমআর শীট ও অন্যান্য তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়। সেখানে উক্ত শিক্ষার্থীদের ফলাফলে কোনো প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন উপস্থিত শিক্ষকগণ।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, ইনস্টিটিউট অফ ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজেজ-এর পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আ.ন.ম ওয়াহিদসহ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় যুক্ত থাকা একাধিক শিক্ষক।
ভর্তি পরীক্ষার সঠিক উত্তরপত্র প্রকাশ করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ বলেন, “আমাদের ভর্তি পরীক্ষার বিধি-বিধান রয়েছে। সেখানে বলাই আছে, কোনো ধরণের Raw Data প্রকাশ করার সুযোগ নেই।”
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আ.ন.ম ওয়াহিদ বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্বচ্ছতার সাথে হয়ে থাকে যা দেশব্যাপী প্রশংসিত। তবে কিছু কুচক্রী মহল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুনামকে ম্লান করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এই কুচক্রী মহলের মুখোশ উন্মোচন করতে এখানে উপস্থিত সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ‘কম নম্বর দেওয়ার’ অভিযোগ তুলেন শতাধিক শিক্ষার্থী। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।