লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ আছে, বিয়ের কথা বলে শাওন নামে এক যুবক তাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে শাওন ও তার তিন বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর বেপারী বাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের ওমর আলী মিঝি বাড়ির মৃত ইব্রাহীমের ছেলে শাওনের সাথে ওই কিশোরীর প্রায় একবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই সুবাদে শাওনের প্ররোচণায় পালিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সোমবার দিবাগত রাত ১১টায় ওই কিশোরী জামা কাপড় ও নগদ টাকা নিয়ে পশ্চিম ভাদুর গ্রামের বেপারী বাড়িতে শাওনের বন্ধু ইমনের বাড়িতে আসে।
এরপর শাওন তাকে বিয়ের ব্যাপারে কোন কথা না বলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার বন্ধু ঈমন, রাসেল ও শরীফসহ ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এ সময় তার সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা রেখে দেয়। পরে সে মুমূর্ষ অবস্থায় বেপারী বাড়ির নাহার বেগম নামের এক মহিলার ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনার পর গ্রাম পুলিশ মিজান ও স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে শারিরীক পরীক্ষার জন্য লক্ষীপুর জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
পরে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভাদুর গ্রামের বেপারী বাড়ির আঃ মতিনের ছেলে মোঃ ঈমন হোসেন, একই গ্রামের অজিউল্যা ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ তোতা মিয়ার ছেলে শরীফ এবং উজির আলী বেপারী বাড়ির আতর মিয়ার ছেলে রাসেলকে আটক করেছে।
গ্রাম পুলিশ মিজান জানান, ওই কিশোরী ধর্ষণের পর নাহার বেগম নামে এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। নাহার বেগম আমাকে জানালে আমি থানা পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুমূর্ষ অবস্থায় ধর্ষনের শিকার এক কিশোরীকে হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রকৃত তথ্য জানানো যাবে।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামানিক ও রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রামগঞ্জ থানা ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঈমন,শরীফ ও রাসেলকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।