
পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে নিমতলী, চর জাজিরা, লালপুর সদর, মোহরকয়া,বিলমাড়ীয়া, দুড়দুড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের দিনের আলোয় এবং রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকোরা । এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আর অপরিকল্পিত ভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ঈশ্বরদী ইপিজেডে,পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রীজ, লালপুর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, থানা ভবন,হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,বাড়ী ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা, তীর রক্ষা বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানান সচেতন মহল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন কেন্দ্র,স্থানীয় থানা সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে বালু ভরাট উত্তোলন করছে প্রভাবশালীরা। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে তারা। এছাড়া ওই বালু খেকোদের নিকট থেকে উৎকোচ নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এতে হতাগ্রস্থ পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষেরা। মতামত, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন এর লালপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন জানান, পদ্মায় বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি।
এবিষয়ে লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এবং বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন বন্ধ করার লক্ষে অভিযান অব্যাহত আছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন,ট্রেন্ডারের বাহিরে পদ্মা নদী এলাকায় বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এবং এই অভিযান চলমান থাকবে।