শ্বশুরবাড়ি বলে কথা, একটু বেশি কথা শুনতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

0 ৪৪০

রংপুরের পীরগঞ্জে চক্ষু চিকিৎসা নিতে আসা এক উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সেই উপকারভোগী নারী পীরগঞ্জে চক্ষু চিকিৎসায় আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। সেই নারীর কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন- ‘শ্বশুরবাড়ি বলে কথা, একটু বেশি কথা শুনতেই হবে।’

 

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫ বিভাগের আওতাধীন ২০ জেলার ৭০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

 

এসময় সরকারপ্রধান বলেন, ‘অন্ধজনে আলো দেয়ার চেয়ে বড় কাজ হতে পারে না। অন্ধত্ব মানুষের জীবনকে অর্থহীন করে দেয়। এই চিকিৎসার ফলে তারা সুস্থ হবেন। দেখতে পাবেন। জীবনটা তাদের অর্থবহ হবে। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা সেবাটা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলায় এই ‘কমিউনিটি ভিশন সেন্টার’ করে দেয়া হবে।’

 

ভিডিও কনফারেন্সে এক উপকারভোগীর সঙ্গে কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী। তখন পীরগঞ্জের ওই নারী বলেন, ‘আমার স্বামী এখান থেকে অপারেশন করে কালো চশমা পেয়ে অনেক সুস্থ আছেন।’

 

তখন প্রধানমন্ত্রী ওই নারীকে জিজ্ঞেস করেন- ‘আপনি আর কিছু বলবেন?’ জবাবে ওই নারী বলেন, ‘চক্ষু চিকিৎসায় আমাদের এখানে আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

 

প্রধানমন্ত্রী ওই নারীর কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনার পর শেষে বলেন, ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই এগুলো করে দিচ্ছি, সব করে দেবো।’

 

পরে তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আরে শ্বশুরবাড়ি বলে কথা, একটু বেশি কথা তো শুনতেই হবে।’ এসময় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পীরগঞ্জে যাবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, ‘জন্মান্ধতা দূর করার জন্য প্রসূতি মাকে চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছি। প্রসবের আগে ইনজেকশন দিয়ে দেয়া হয়। যার কারণে এখন সেটার ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি। জন্মান্ধতা কমে গেছে। এছাড়াও ভিটামিন ই’সহ নানা টিকা দিয়ে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছি। যক্ষ্মাসহ নানা রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি ও লুটপাটকারীরা ক্ষমতায় আসে। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে এটা আশা করা যায় না। আমরা ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এগুলো নষ্ট করেছে।’

 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। মুজিববর্ষে কেউ সেবাবঞ্চিত হবে না। কেউ গৃহহীন থাকবে না। আমরা সারা দেশে ঘর করে দিচ্ছি। নদীভাঙন কবলিতদের ঘরে দেয়ার জন্য আলাদাভাবে বাজেটে ১০০ কোটি টাকা রেখেছি।’

 

অনুষ্ঠানে চক্ষু ইনস্টিটিউট থেকে ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলম মোস্তাফা, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান এবং পীরগঞ্জ, নাচোল ও হালুয়াঘাট উপজেলা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা বক্তব্য দেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.