নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবার থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে হলে শিল্প, সাহিত্য আর সংস্কৃতি চর্চা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠুধারার সংস্কৃতি চর্চা দিয়েই অপসংস্কৃতি রোধ করা সম্ভব। আর এখানে পরিবারের দায়িত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি রাষ্ট্রের উচিত হচ্ছে গবেষণা করে মানবিক কর্মপরিকল্পনা সাজানো এবং বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
শুক্রবার (১২ মার্চ) রাজধানীর শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মানবকল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় অপ-সংস্কৃতি রোধ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বয়স আজ পঞ্চাশ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও মানবতার মা নিরব নিভৃত্বে চোখের জল ফেলছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যে মানবতাহীন কর্মকান্ড শুরু হয়েছে, আজ এটি রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মানবতাবিরোধী ব্যক্তি ও মহল পরিকল্পিতভাবে এদেশটাকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে এমন কোনো অপসংস্কৃতি নেই, তারা ছড়িয়ে দেয়নি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিঁনি আরও বলেন, তথ্য-প্রমাণের আধুনিক সভ্যতায় এসেও সংসদে দাঁড়িয়ে কতিপয় এমপি স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে জাতির সামনে মিথ্যাচার করছে। ত্রিশ লক্ষ শহীদদের আত্মত্যাগকে খাটো করার জন্য তিন লক্ষ বলে বিতর্ক সৃষ্টি করছে। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কেন স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি-এটি এখন নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। আবার অনুষ্ঠানের কথা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে নিয়ে রীতিমত অপমান করা হচ্ছে।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা, ধর্মের নামে শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান চর্চায় বাধাগ্রস্থ করা, অধার্মিক কর্মকান্ড করা, নারীর প্রতি বিষোদগার ছড়ানো এবং সর্বপরি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপসংস্কৃতিগুলোকে প্রতিহত-প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। আর সেটা পরিবার থেকে রাষ্ট্রের সর্বস্তরে নিশ্চত করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি সাইদ সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের খাঁন দূর্জয় যুগ্ম সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যরিস্টার হাসানুর রহমান, লেখক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মীর হোসেন, রাজননৈতিক নেতা গাজী গনি, আয়ূব আলী প্রমুখ।