সচেতনতার অভাবে বাড়ছে অনলাইনে ঝুঁকি
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: ডিজিটাল বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে এসেছে কল্যাণের ছোয়া। অর্থনৈতিক সক্ষমতার সঙ্গে বেড়েছে আর্থিক লেনদেনের পরিধিও। প্রসার লাভ করছে মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের হার। প্রযুক্তির ফলে অর্থ লেনদেন সহজলভ্য হলেও দেশের মোট ব্যাংকের অর্ধেকই এখন সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিষেশজ্ঞদের মতে, লেনদেনে সর্তকতা ও সচেতনতা অবলম্বন করলে ঠেকানো যাবে আর্থিক ক্ষতি। আর্থিক লেনদেনের পরিধি বাড়লেও প্রযুক্তিগত সুরক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে এ মাধ্যমটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রযুক্তি অ্যাপ ‘বিকাশ’এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে প্রতারিত আব্দুল হাকিম। মাস দুয়েক আগে তার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রায় ১৯ হাজার টাকার মতো উধাও হয়ে যায়। তিনি কাউকে তার পিন নম্বার দেন নাই এবং কখনো ফোন করে কেউ পিন নম্বার জানতে চায় নাই।
ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং জালিয়াতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে এটিএম ও প্লাস্টিক কার্ডের মাধ্যমে। প্রায় ৪৩ শতাংশ জালিয়াতির ঘটনা প্রযুক্তিভিত্তিক। জালিয়াতির ঘটনার মধ্যে ২৫ শতাংশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘটছে। অনলাইন চেক ক্লিয়ারিং (এসপিএস) ও ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে ঘটছে ১৫ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে ১২ শতাংশ, ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে ৩ শতাংশ এবং সুইফটের মাধ্যমে ২ শতাংশ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তা আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। শুধু আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানই বলছি কেন, তথ্যপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সব খাতে তা বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাত মিলে এই উদ্যোগ নিতে হবে।
সাইবার ক্রাইম ও নিরাপত্তার বিষয়ে কথা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিয়া রহমান বলেন, বিশ্বায়নের যুগে দ্রুত বিকাশ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ধারাগুলো সেইসাথে যোগ হচ্ছে প্রতারণার নতুন নতুন ধারা। তাই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সতকতা ও সচেতনতার বিকল্প নেই।