শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা না থাকায় খুঁচরা বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজসহ সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবী ও সাধরণ মানুষের নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে । তবে পেঁয়াজের ঝাজে নাকাল এখন শেরপুর বাসী।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন আর সব ধরণের সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক সপ্তাহ আগে শেরপুর উপজেলার বাজার গুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম রকমভেদে ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা কেজি ও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ টাকা কেজি। গত বুধবার সকাল থেকে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে দেশী পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ ও কাচা মরিচ ১৫০ টাকা কেজি, বেগুন ২৫ টাকা কেজি বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি,পটল ২০ টাকা কেজি বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি, শসা ২০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা কেজি,কাকরোল ১৬ টাকা বর্তমানে ৩২ টাকা কেজি,ঝিঙ্গা ১৮ টাকা বর্তমানে ৩৬ টাকা কেজি, লাউ ১০ টাকা (প্রতিপিচ) বর্তমানে ২০ টাকা,কুমড়া(প্রতিপিচ) ১০ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা,করলা ৪০ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৩০ টাকা বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি,ঁেঢরশ ২০ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু মাত্র আলুর দাম ছাড়া সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধ্রাণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সরকারি ভাবে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন সময় বাজারে এ ধরনের অস্থিরতার সৃস্টি হয়। ব্যবসায়িরা অধিক মুনাফার আশায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অনেক সময় পণ্যর দাম বেশি নেয়।
রিক্সাওয়ালা আব্দুর রহমান, দিন মজুর ইনছান আলী সহ একাধিক খেটে খাওয়া মনুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, যেভাবে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন চলা দায় হয়ে পরেছে। দিনে যে রোজগার করি তাতে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে ছিলাম। এতদিন শুধু চালেম দাম বেশি ছিল কিন্ত এখন সব জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত আমাদের রোজগার সেই আগের মতই আছে। এখন আমরা দুচোখে অন্ধকার দেখছি।
সাধারন মানুষের দাবি নিয়মিত বাজারে মনিটরিং থাকলে এ সিন্ডিকেটের অবস্থা থাকবেনা। শেরপুর উপজেলার কাঁচামাল ব্যবসায়ি সমিতির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ সবজি ব্যবসায়ীর জানান, এ বছর ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার কারণে আমাদের দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশীয় বাজারে ঘাটতি পূরণ করতে ভারতের উপর নিরভর্শীল হতে হয়। সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান,বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ মোরশেদা খাতুন বলেন- এ উপজেলায় বাজার মনিটরিং করার জন্য কোন কমিটি আছে কিনা আমি তা জানি না।