স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে প্রথমে সাক্ষাৎ করে মহিউদ্দিনের পরিবার। এরপর দুপুর ১টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করে জাহাঙ্গীরের পরিবার। বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বের হন তার পরিবারের সদস্যরা।
জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। পরিবারের সব সদস্যের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সবাইকে ধৈর্যধারণ করতে বলেছেন। তবে বিচার নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ভাবি অলিফা বেগম বলেন, সাক্ষাতের সময় জাহাঙ্গীর বলেছে, ভাবি আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমিও তোমাদের মাফ করে দিয়েছি। এরপর আমাদের কাছ থেকে দোয়া চেয়েছেন। অনেক লোক একসঙ্গে ঢোকায় খুব বেশি করে কথা বলতে পারিনি।
জাহাঙ্গীরের বাবা আজিম উদ্দিন বলেন,ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছে। মাঝখানে তারকাঁটা ছিল। ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। ছেলে দোয়া চেয়েছে।
এদিকে,মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। অনেকটা নীরবে কারাগার ত্যাগ করেছেন তারা।
অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলার আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। তবে তা নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
গত ৫ জুলাই ডাকযোগে ওই চিঠি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। কারাগারের একটি সূত্র প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তার আগে গত ২ মার্চ এই দুজনের ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করেন সর্বোচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের যে রায় এসেছিল তাই বহাল থাকে আপিলে,খারিজ হয় রিভিউ আবেদনও।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংস হত্যার শিকার হন তিনি। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।