নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখার দায়ে শাহাদাত হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত শাহাদাত হোসেন সিংড়া উপজেলার দেওগাছা উত্তরপাড়া মহল্লার মোসলেম প্রামানিকের ছেলে।
নাটোরের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ৪ আগষ্ট ভিকটিম কলেজ শিক্ষার্থীর এক আত্মীয় মারা গেলে তার বা ও মা তাকে বাড়ীতে রেখে সেখানে যান। এ সময় প্রতিবেশী যুবক শাহাদাত হোসেন তাকে বাড়ীতে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বললে শাহাদাত তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহটির গলার ওড়না দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
বিকেলে স্কুল থেকে নিহত শিক্ষার্থীর ছোট ভাই বোন বাড়ীতে ফিরে এসে কাউকে দেখতে পায়না। অনেক খোঁজাখুজির করার পর একটি ঘরে তীরের সাথে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় তারা সেখানে শাহাদাত হোসেনকেও দেখতে পায়। পরে শাহাদাত হোসেন মরদেহটি নামিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় নিহতের দুই ভাই বোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে মরদেহটি দেখতে পেয়ে তাদের বাবা ও মাকে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে বাবা ও মা বাড়ীতে ফিরে এসে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে এলাকাবাসী পাশের গ্রাম থেকে শাহাদাত হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শাহাদাত হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের বিচারক মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনকে মৃত্যুদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানর আদেশ দেন। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবী জানান।