সিদ্দিক আমার সঙ্গে যা করেছে তা বলার মতো না: মিম
বিনোদন ডেস্ক: ২০১২ সালে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মডেল মারিয়া মিমের। গত অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে এই দম্পতি ভালোই ঘর-সংসার করছিল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। গুঞ্জন উঠে ছাড়াছাড়ি হচ্ছে যাচ্ছে সিদ্দিক-মিমের। কারণ হিসেবে সামনে এসেছে, মিমকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিতে সিদ্দিকের আপত্তি।
দুদিন আগে এ নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি শোবিজ পাড়ায় ‘টক অব দ্য টাইম’ হয়ে উঠে। জানা যায়, এই তারকা দম্পতি গত আড়াই-তিন মাস ধরে আলাদা থাকছেন।
সিদ্দিক বলছেন, তিন তার স্ত্রীকে অভিনয় ও মডেলিং করতে না করায় তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। তিনি তার স্ত্রীকে সংসারে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিদ্দিকের ভাষ্য, ‘দেখুন, অনেকদিন ধরে অভিনয় করছি। আমার একটা জনপ্রিয়তা আছে। আর্থিকভাবেও আমি স্বচ্ছল। তাই ওকে অভিনয় না করতে বলেছিলাম। আমাদের একমাত্র সন্তান আরশ হোসাইনের বয়স ৬ বছর। মূলত মিডিয়ায় তার কাজ করা না-করা নিয়েই দ্বন্দ্ব। গত আড়াই মাস সে চলে গেছে। বহুবার ফোন দিয়েছি। সন্তানের কথা চিন্তা করে অনেক বুঝিয়েছি, অনেক সহ্য করেছি। যদি সে বিচ্ছেদই চায়, তবে আমিও অনেক কিছুই প্রকাশ্যে আনবো।’
অন্যদিকে সিদ্দিকের বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ এনে মারিয়া মিম বলেছেন, ‘শুধু মিডিয়ায় কাজ করতে না দেয়ার কারণেই নয়, সিদ্দিকের সঙ্গে সংসার না করার শত শত কারণ রয়েছে। সিদ্দিক যা করেছে তা কাউকে বলা যায় না। সেই কথাগুলো বললে সিদ্দিক গ্রেফতার হবেন।’
বিয়ের পর সিদ্দিকের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন আসতে থাকে জানিয়ে মিম বলেন, ‘বিয়ের আগে কোনও কিছুতেই ওর কোনও আপত্তি ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আস্তে আস্তে ওর মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়। বিয়ের আগের সিদ্দিক আর বিয়ের পরের সিদ্দিকের মধ্যে মিল খঁজে পেতাম না। সব মেয়ের মতো আমারও স্বপ্ন ছিল- আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ হবেন। একটা সংসার গড়বো দুজন মিলে। মনেপ্রাণে তো শুধু এটুকুই চেয়েছিলাম।’
মিমের অভিযোগ, ‘বিয়ের পর সিদ্দিক আমাকে সব কাজ ছেড়ে দিতে বলে। আমি তার সব কথা মেনে নিতাম- যদি সে আমাকে মানসিকভাবে শান্তি দিতো এবং ভালোবাসতো। আমি এতদিন সবকিছু সহ্য করে গেছি। এখন বুঝতে পারছি- জোর করে কিছু হয় না। অন্তত সংসার, সম্পর্ক, ভালোবাসা।’
২০১২ সালের ২৪ মে সিদ্দিকের সঙ্গে মিমের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ৬ বছর বয়সী তাদের একমাত্র সন্তানের নাম আরশ হোসাইন।