সিরিয়া হামলায় কাতারের সহযোগিতা লজ্জাজনক দামেস্ক
আন্তর্জাতিক অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় মার্কিন মিত্রদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাতারের ঘাঁটি ব্যবহৃত হওয়ার ঘটনাকে দোহার জন্য ‘লজ্জাজনক’বলে অভিহিত করেছে দামেস্ক। এজন্য কাতারের আমিরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়া সরকার।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা- সানাকে বলেছেন, সিরিয়ায় হামলা চালানো পশ্চিমা জঙ্গিবিমানগুলো কাতারের ‘আল-উদেইদ’বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে উড্ডয়ন করেছে।
সিরিয়ার সূত্রটি বলেছে, কাতারের এই লজ্জাজনক অবস্থানে দামেস্ক মোটেও বিস্মিত হয়নি। কারণ, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে কাতার বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, এসব জঙ্গি গোষ্ঠীকে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সব রকম সহযোগিতা দিয়েছে দোহা।
আল-উদেইদ মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সেনাঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ ঘাঁটিতে ব্রিটেনসহ আরো কিছু দেশের সেনাও মোতায়েন রয়েছে। আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাকে সামরিক অভিযান পরিচালনার কাজে আমেরিকা আল-উদেইদ সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে।
গত ৭ এপ্রিল সিরিয়ার পূর্ব গৌতায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ শহর দৌমায় রাসায়নিক হামলার জবাব দিতে শনিবার প্রথম প্রহরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গিবিমান থেকে সিরিয়ার তিনটি প্রধান রাসায়নিক অস্ত্র ক্ষেত্রে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
যদিও রাশিয়ার দাবি তারা মার্কিন মিত্রদের ছোড়া ১০৩টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৭১টি আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার সময় অনুযায়ী, শনিবার ভোর রাতে এই হামলা চালানো হয়। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা জোটের এটি সবচেয়ে বড় হামলা।
সিরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা সানা’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উত্তর-পূর্বে একটি গবেষণাগারে এবং অন্যান্য সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড বলেন, তিন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হচ্ছে। এগুলো হলো ১. দামেস্কের বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, যেখানে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র উৎপাদন করা হয় বলে জানা যায়; ২. হোমসে একটি রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার ও ৩. হোমসেই পাশেই আরেক অস্ত্রভাণ্ডার, যেখান থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ঘাঁটিতে সেনা হামলার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। ব্রেকিংনিউজ/