সাইফ উল্লাহ, হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ পল্লীতে তুচ্চ ঘঁনা কেন্দ্র করে দু পক্ষের সংঘর্ষে নারী সহ আহত হয়েছে ১৫ জন। গতকাল সোমবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাচ্না কালীবাড়ী গ্রামের রাজা মিয়া গং ও অজিত গংদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা সহ আহত ১৫ হয়। রাজা মিয়া গংদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল গফুর মিয়া বাড়ির সীমানায় আম গাছের চাড়াগুলো কে বা কাহারা রাতের আধারে ভেঙ্গে ফেললে পার্শবর্তী সীমানায় আমাদের বাড়ি হওয়ায়, অজিত গংদের সন্দেহের তীর বাধে আমাদের (রাজামিয়া গং) প্রতি। এ নিয়ে কানা-ঘোষা, এক পর্য়ায়ে কথা কাটা কাটি হলে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি ও আত্মীয়-স্বজন আজ সোমবার বিকেলে শালীসে বসার কথা থাকলেও অনুমান ভোর ৬টা থেকে পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়ির সীমানায় উৎপেতে বসে থাকলে, আমাদের লোকজন ঘুম থেকে উঠে ব্যাবসার কাজে বাজারে যাওয়ার সময় ঘর থেকে বাহির হলে লতু মিয়া(৬০)কে এলোপাথারি মার ধর শুরু করলে, আতœ চিৎকারে নারী সহ আমরা সবাই ঘর থেকে বাহির হয়ে দেখি আমাদের বাড়ির সীমানার পাশা পাশি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি লতু মিয়াকে মারধর করছে, লতু মিয়ার প্রাণ রক্ষায় আগাইয়া আসলে,অজিত মিয়ার নেতৃত্বে সবাই আমাদের বাড়ির সীমানায় ডুকে নারী সহ সবাইকে মারধর করে আহত করে।অজিত মিয়া গংদের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন আব্দুল গফুরের বাড়ির সিমানায় লাগানো চাড়া গাছ ভাংগা দেখে,আমরা মাতামাতির এক পর্যায়ে রাজা মিয়া গংরা বলে তোমাদের সন্ধেহতো আমরা ভাংছি,কইয়ালাও আমরার কথা,এই নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। আহতরা হলেন মকবুল হোসেন(৩৮),আলী হোসেন(৩০),মোমেনা খাতুন(৬৫),শাহানা বেগম(২৮),লতু মিয়া(৬৫),আলী আমজদ(৪০),মাহমদ আলী(২৮),টিপু মিয়া(১৪) গুরুতর আহত মকবুল হোসেন ও শাহানা বেগম কে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বাকী আহতরা জামালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানাযায়। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আইন শৃংখৃলা শান্ত আছে,আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধর্মপাশায় হাওরাঞ্চলে যুবকের লাশ উদ্ধার
সাইফ উল্লাহ, হাওরাঞ্চল প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের পাথারিয়াকান্দা গ্রাম থেকে রোববার দুপুরে
ঝন্টু বর্মণ (১৯) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত প্রেমানন্দ বর্মণের ছেলে।
এলাকাবাসী ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের পাথারিয়াকান্দা গ্রামের নিজ বাড়ির পেছনের সোনামড়ল হাওরে বোরো জমিতে সেচ দিতে গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে ওই হাওরে যান কৃষক ঝন্টু বর্মণ। সেখান থেকে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন নানা স্থানে গিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান পাননি। রোবাবার সকাল ৬টার দিকে পাথারিয়া কান্দা গ্রামের সামনে একটি গাছের ডালের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঝন্টু বর্মণের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। বিষয়টি থানা পুলিশকে মুঠোফোনে ুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে ঝন্টু বর্মণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন। ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক অনির্বাণ বিশ্বাস জানান, ওই ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জানালে পুলিশ ওইদিন দুপুওে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।