সেপ্টেম্বরে আসতে পারে করোনার ভ্যাকসিন

0 ৩২৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন থেকে গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) উদ্ভব। ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি লোক। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ লাখের বেশি। তাই এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে দিন-রাত চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। কে কার আগে এই প্রতিষেধক আবিষ্কার করবেন, চলছে সেই প্রতিযোগিতা। এরই মধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত এ দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন তৈরির কাজটি অন্যদের আগেই শুরু করে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জানুয়ারিতেই প্রতিষেধক তৈরির কাজ শুরু করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট। প্রতিষেধকটির সাথে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে খুবই আশাবাদী, আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে কোভিড-১৯ এই ভ্যাকসিন।

অক্সফোর্ডের গবেষকরা কোভিড-১৯-এর সমগোত্রীয় ভাইরাসের টিকা ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন। এটি তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভ্যাকসিনলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘ভ্যাকসিনটির বিষয়ে আমার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আছে। কারণ, এর প্রযুক্তি আমি আগেই ব্যবহার করেছি। সেখানে সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, নতুন ভ্যাকসিন তৈরিতে করোনা ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান নেওয়া হয়েছে। পরে তা সাধারণ ঠান্ডার ভাইরাসে ইনজেকশন হিসেবে পুশ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মোডিফায়েড ভাইরাসটি কোভিড-১৯-এর অনুকরণে হবে। সেটি প্রকৃত কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সাফল্যের বিষয়ে ‘আমরা আশাবাদী’।

এদিকে অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি এরই মধ্যে একদল বানরের ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে সুফল পাওয়া গেছে। তা ছাড়া ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেও এই ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানী এলিসা গ্রানাটোও রয়েছেন।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পর তিনি বেশ ভালো আছেন। কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়নি এখনো। এই ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেষমেশ আমি কিছু একটা করতে সমর্থ হয়েছি, আমার মধ্যে এমন এক অনুভূতি কাজ করছে। ভ্যাকসিন তৈরিতে অবদান রাখতে এভাবেই আমার সুযোগ হয়েছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.