স্ত্রীর চোখে মাশরাফী ম্যাজিশিয়ান-ফাইটার
কথায় আছে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর অবদান রয়েছে। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার বেলায় রয়েছেন স্ত্রী সুমনা হক সুমি। মাশরাফীকে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা দেয়া স্ত্রী সুমনা হক সুমির চোখে মাশরাফী শুধু ম্যাজিশিয়ান নন একজন ফাইটারও বটে।
বিপিএলে সিলেটের ভাগ্য বরাবরই খারাপ। তবে এবার এক জিয়ন কাঠির ছোঁয়ায় যেন বদলে গেল সিলেট। সেই জিয়ন কাঠি আর কেউ নন খোদ অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। যাকে বিপিএলের জাদুকর বলাই যায়।
দলে তেমন কোনো বড় তারকা না থাকলেও ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা ঠিকই বের করে নিচ্ছেন মাশরাফী। যার ফল হিসেবে প্রথমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্স। নড়াইল এক্সপ্রেসের জাদুতে কুপোকাত বড় দলগুলো।
গতকাল মঙ্গলবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট-রংপুর ম্যাচ শেষে গনামাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে সুমনা হক সুমি বলেন, ‘খেলার ক্ষেত্রে ভালো-খারাপ সময় সবসময় আসবে। পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে সবসময় মাশরাফীকে সাপোর্ট করে আসছি। তবে খারাপ সময়ে ভেঙে পড়া যাবে না। মনেবল দৃঢ রাখতে হবে। ওর পাশে আছি আমরা, সবসময় থাকবো।’
মাশরাফী ম্যাজিশিয়ান না ফাইটার সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সুমি বলেন, ‘আমার কাছে মাশরাফী ম্যাজিশিয়ানের পাশাপাশি ফাইটার। বিপিএল মানেই মাশরাফীর জয়জয়কার, এমন একটি স্লোগান কিন্তু হরহামেশাই শোনা যায়। দেখি, এবার কি হয়। সে এসেছে রাজার মতো, খেলেছেও রাজার মতো। সৈনিকের মতো মাঠে সবসময় লড়াই করেছে।’
মাশরাফী এভাবে চোট নিয়ে আর কদিন খেলে যাবেন? এমন প্রশ্নে সুমনা হক সুমি জানান, ‘মাশরাফী কদিন খেলবে এটা একান্তই তার সিদ্ধান্ত। সে যেই কয়দিন খেলা উপভোগ করে, তাকে খেলতে দিন। আমাদের সবার মনে হয় এই বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা না বলাই ভালো। তার সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দেয়া উচিত।’
গতকাল রংপুরে বিপক্ষে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মাশরাফীর বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে সিলেটের জয় ১৯ রানে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মেগা ফাইনালে কুমিল্লার মুখোমুখি হবে মাশরাফীর দল। প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ নেয়ার সুযোগ সিলেটের। মাশরাফী কি পারবে ফাইনালে নিজের কারিশমা আরও একবার দেখাতে, তা তো সময়ই বলে দিবে।