মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ছয়জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় চারজনকে উন্নত চিকিংসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় মো. এনামুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের রণাইল নিচপাড়া গ্রামে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, রণাইল নিচপাড়া গ্রামের মৃত হানিফের ছেলে রবাট হোসেন, মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে জহুরুল হক, মজিদুর রহমান, আব্দুল মতিন, আজিবর রহমানের ছেলে ফজলু, শাহাজালাল, বুললুন বাবু,
মৃত কিনার পালিত পুত্র আজিবর রহমান, মৃত কিনার ছেলে আক্কাছ আলী, মো. গাজী, ফাইন হোসেন, মকবুল হোসেনের ছেলে ফরিদ, জহুরুলের ছেলে জনি, মতিনের ছেলে রিমন হোসেন, ফাইন হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন, মৃত ইনছের আলীর ছেলে নুরনবী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ধারালো হাসুয়া, লোহার রড ও বাঁশের লাঠিসহ এনামুল হকের আম বাগানে জোরপূর্বক ঢুকে আম পাড়তে থাকে।
এ সময় এনামুলের ছোট ভাই মেহেদী হাসানের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বাগানে গিয়ে তাদেরকে আম পাড়তে নিষেধ করলে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করতে থাকে। এ সময় হাজেরা খাতুনের ডাকচিৎকারে তার চাচাত ভাই ফজর আলীর ছেলে মো. আইনুল হক, মো. ময়নুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান এবং অপর চাচা মৃত বাহার আলীর ছেলে হামিদুর রহমান ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীগন তাদের হাতে থাকা হাসুয়া, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করতে থাকে।
এ সময় আইনুল হকের মাথার দুই স্থানে, ময়নুল ইসলামের মাথার সামনে ও বাম হাতের আঙ্গুল ও গুরুতর হাড় ভাঙা জখমপ্রাপ্ত হয়। হামিদুর রহমান, মেহেদী হাসানের মাথায় হাসুয়ার কোপ মারলে তাদের মাথা কেটে গিয়ে তারাও গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়। এছাড়াও আসামীরা হাজেরা খাতুনের শ্লীলতাহানী ঘটায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহসান হাবীব বাবুসহ ৬জন আহত। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে আইনুল হক, ময়নুল ইসলাম, হামিদুর রহমান, মেহেদী হাসানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।