
পথসভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। করোনা মহামারীর সংক্রমণ দেখা দিলে সেটি মোকাবেলা ও মানুষকে বাঁচাতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে অনেক কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যেও রাজশাহী যে উন্নয়ন করেছি, তা দৃশ্যমান। রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো। আগামীতে কী কী করতে চাই, সেটি আমি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছি। এবার আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিক শিল্পনগরী- ২ ও চামড়া শিল্প পার্ক দিয়েছেন। আগামী ৫ বছর তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধনতা এনে দিয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের উন্নয়ন করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজশাহীকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আজকের যে রাজশাহী দেখছেন, আগামী ৫ বছরে রাজশাহী হবে আরো উন্নত, কর্মচঞ্চল আরো আধুনিক হবে। ২১ জুন সারাদিন, নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অপ্রচারকারীরা মাঠে নেমেছে। তারা অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। যেসব এলাকায় গরীব মানুষের বসবাস, যেসব এলাকায় গিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল বলছে, একটি ভোট দিলে একটি হজে¦র সওয়াব পাওয়া যাবে। নাউজুবিল্লাহ। পূর্বে আমরা জামায়াত-শিবিরের লোকের মুখে শুনেছিলাম তাদের মার্কায় ভোট দিলে জান্নাতের টিকেট পাওয়া যায়। একথা মানুষকে বলে আজকে তারা সংকটে পড়েছে। যারা নতুন করে দেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছেন, রাজনীতিতে, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নেন সমস্যা নাই। কিন্তু ধর্মের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। ধমের্র কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে আপনি তো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে যাবেন। আপনাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করা হবে।
প্রচার মিছিল ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল। সভার সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।