২০১৬ সালে ঢালিউডে কার কত আয়

0 ৯৩৬

আলমগীর,বিনোদন :
তারকারা সাধারণত নিজেদের আয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেই চান
আগের কয়েক বছরের মতো ২০১৬ সালেও আয়ে শীর্ষে আছেন শাকিব খান। তার ৭টি ছবি মুক্তি পায়, চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরো কয়েকটি ছবিতে। ‘শিকারি’ মুক্তির আগে তিনি পারিশ্রমিক নিতেন ২০-২৫ লাখ। যৌথ প্রযোজনার ছবিটি মুক্তির পর দেশীয় অনেক প্রযোজকের কাছে ৩০ লাখ করে হাঁকছেন এ নায়ক। তবে যৌথ প্রযোজনার ছবির ক্ষেত্রে ৩৫-৪০ লাখ রূপি করে নিচ্ছেন। এর বাইরেও শাকিবকে গাড়ির তেল খরচ, পোশাক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে ২-৩ লাখ টাকা দিতে হয়। সব মিলিয়ে তার আয় হয়েছে কমপক্ষে ২ কোটি টাকা।

এরপরই থাকবে বাপ্পীর নাম। তিনি ছবি প্রতি নেন ৮ লাখ টাকা। এর বাইরে পোশাক ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ মিলিয়ে নেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা। ২০১৬ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ৫। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরো ৭-৮টি ছবিতে। সেগুলোর সাইনিং মানি মিলিয়ে তার আয় ৭৫-৮০ লাখ টাকা। এছাড়া স্টেজ শো করেছেন ৩-৪টি। সেগুলো থেকে আরো ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন। সবমিলিয়ে এক বছরে তার আয় ১ কোটির কাছাকাছি।

আরিফিন শুভ’র মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা ৩, চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরো ৪টিতে। ছবি প্রতি তিনি নেন ১০ লাখ টাকা। তবে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ছবিতে একটু কম নেন। মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর পারিশ্রমিক ও চুক্তিবদ্ধ ছবিগুলোর সাইনিং মানি বাবদ আয় ৫০ লাখের বেশি। স্টেজ শোও করেছেন ৩-৪টি। সেগুলো থেকে পাওয়া পারিশ্রমিক মিলিয়ে আয় ৭৫ লাখ টাকা।

নায়িকাদের মধ্যে বরাবরই বেশি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন মাহি। ছবি প্রতি ১০ লাখের নিচে নেন না, চুক্তির সময়ই পুরো টাকাটা নিয়ে নেন। ২০১৬ সালে তার দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘হারজিৎ’, ‘গোলাপতলীর কাজল’, ‘প্রেমের বাঁধন’, ‘পাপী’, ‘পলকে পলকে তোমাকে চাই’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার মতো পারিশ্রমিক পেয়েছেন। তবে হারজিতে ৯ লাখ ও কৃষ্ণপক্ষে হূমায়ূন আহমেদের গল্প হওয়ায় কম পারিশ্রমিকে অভিনয় করে দেন। এছাড়া চ্যানেল আইয়ের দুটো রিয়েলিটি শোর ফাইনালে বিচারক হিসেবে উপস্থিতি ও পারফর্মেন্স সব মিলিয়ে গত বছর তার আয় অর্ধ কোটির উপরে ছিল।

২০১৬ সালে লেডি অ্যাকশনভিত্তিক ‘রক্ত’ দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পরী মনি। মুক্তি পেয়েছে মোট ৪টি ছবি। চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অর্ধ ডজন সিনেমায়। তিনি ছবি প্রতি ৫-৭ লাখ টাকা নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছেন। সব মিলিয়ে তার আয় ৫০ লাখ টাকার মতো।

এছাড়া ছবি প্রতি সাইমন সাদিক ও বিদ্যা সিনহা মিম নেন ৫-৬ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ও চুক্তিবদ্ধ ছবির হিসেবে দুজনের আয় ৩০-৪০ লাখ করে। তবে সিনেমায় কম দেখা গেলেও অন্য তারকাদের চেয়ে বিজ্ঞাপন ও শো’তে মিমের ব্যস্ততা বেশি।

অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়া, রোশান ও জলি জাজ মাল্টিমিডিয়ার সাথে বাৎসরিক চুক্তিতে আবদ্ধ। যার কারণে তাদের পারিশ্রমিক ছবি প্রতি না হয়ে কয়েক বছরের জন্য এককালীন একটা বড় অংকে হয়ে থাকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.