২ কোটি ১০ লাখ শিশু খাবে ভিটামিন ক্যাপসুল
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে আজ শনিবার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মোট ২ কোটি ১০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে বিশ্ব ইজতেমার কারণে গাজীপুর জেলার সব উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামী ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করতে যাচ্ছি। সেদিন ছয়মাস বয়স থেকে শুরু করে ৫৯ মাস পর্যন্ত বয়সের প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্পেইন চলবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এক সময়ে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪ শতাংশের উপরে। সেটি এখন কমে ১ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের কারণে। এই ক্যাপসুলটি শিশুকে খাওয়ালে সে রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও এই ক্যাপসুলের কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ, ব্রঙ্কাইটিস রোগ থেকে রক্ষা পায় শিশু।
তিনি আরও বলেন, এই ক্যাম্পেইনটি যাতে যথাযথভাবে পালিত হয় তার জন্য এক লাখ ২০ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি এনজিও বিভিন্ন পর্যায়ে সকলেই কাজ করবে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ক্লিনিকে এই সেবা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন সহ যেখানেই লোকজন বেশি থাকে সেখানেই এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন তখন ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখায় বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে রয়েছে।