৩০ বছর পর সিনেমা দেখলো গাজাবাসী

0 ১,৩৭৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সিনেমা পাগল দর্শকেরা ৩০ বছর পরে হলে গিয়ে সিনেমা দেখলেন। সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই শহরে বিনোদন যে কী, সেটা ভুলতেই বসেছিলেন এখানকার মানুষ। অবশেষে তাদের জন্য সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিল ‘সামির’ প্রেক্ষাগ্রহ।
এই সিনেমা হলটি ১৯৬০ সাল থেকে বন্ধ ছিল। অবশেষে ফের ‘টেন ইয়ার্স’ ছবি দেখানোর মধ্যে দিয়ে সিনেমা হলটি চালু হলো। প্রায় ৩০০ নারী-পুরুষ এসেছিল ফিল্মটি দেখতে। ইসরাইলে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে।
নারমিন জিয়ারা নামে ছবিটির একজন অভিনেতা বলেন, গাজায় ফের সিনেমা চালু হওয়ায় তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে শিল্পের জন্য একটি বড় স্থান প্রয়োজন। চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্র মাধ্যমে সমাজের বিকাশের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যে সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় এই ফিল্ম দেখানো হল, সেই উদ্যোক্তাদের একজন ঘাদা সালমি বলেছেন, ‘গাজায় বিনোদন  ফিরছে এটা এক ঐতিহাসিক ঘটনা।’‌
ফিল্ম দেখানোর জন্য যে প্রেক্ষাগৃহকে বেছে নেয়া হয়েছিল, সেটিরও ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এখানে ১৯৪৬ সালে হামাসের মুসলিম ব্রাদারহুডের গাজা শাখার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু, ১৯৬০ সালের পরে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮০–র পরে এই শহরের অন্য প্রেক্ষাগৃহগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৭ সালে গাজার এক সিনেমা হলে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাদের দাবি ছিল, সিনেমা দেখার অনুমতি তাদের ধর্ম দেয় না।
জাওয়াদ আবু রহমান নামে সিনেমা দেখতে আসা এক দর্শক বলেছেন, এখন থেকে নিয়মিত গাজায় সিনেমা দেখানো উচিত। আমাদের মানুষের মতো জীবনধারণের জন্য সিনেমা, খোলা স্থান এবং পার্ক প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, গাজায় বর্তমানে ২০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি ইসরাইলি দাসত্বের মধ্যে বাস করছে।- দ্য ইনডিপেনডেন্ট।

Leave A Reply

Your email address will not be published.