আটকের পর মৃত্যুর ঘটনায় থানা ঘেরাও, ব্যাপক সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১৫

0 ২৭৬

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: রংপুরের পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে শামছুল হক (৫৮) নামের এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মৃত্যু ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেড়াও করে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে লক্ষ্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় পুলিশ পাল্টা ২৩ রাউন্ড রবার্ট বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা করে। আধা-ঘণ্টা ধরে পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার মধ্যে ধাওয়া-প্লাটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন ও ভেন্ডাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় জনতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অর্ধশতাধিক জনতা গুরুতর আহত হয়েছে।ব্রেকিংনিউজ

স্থানীয়রা জানান, শামছুল হককে মঙ্গলবার রাত ৯টায় পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ভেন্ডাবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে আটক রাখা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় হাজত খানায় তাকে গ্রিলের সাথে ফাঁস অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা সাথে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এদিকে নিহতের পরিবার জানান, ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামছুল হককে গ্রেফতারের পরে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার এই দাবির টাকা পূরণ করতে না পারায় তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

রংপুরের পুলিশ সুপার,বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমি রওনা দিয়েছে। তবে শুনেছি যে, আমাদের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার হাফিজসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.