আলমডাঙ্গাতে  আসল না নকল ওষুধ দ্বিধাদ্বন্দ্বে রোগী, ডিপোর সিল ব‍্যতীত ওষুধের ছড়াছড়ি 

0 ১৯৩

আল-আমিন হোসেনঃ মানুষের মৌলিক অধিকারের মদ্ধে চিকিৎসা  হলো অন্যতম। কিন্তু  আলমডাঙ্গার ফার্মেসিগুলো ঢাকা মিডফোর্ড মার্কেটর উপর দিন দিন ঝুঁকে পড়ায়  আসল কি নকল ওষুধ  দ্বিধাদ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ ।

ঔষধ  কোম্পানিগুলো তার প্রতিনিধি নিয়োগ দেয় নতুন নতুন ওষুধ সম্পর্কে ডাক্তারকে তথ‍্য দেয়ার জন্য কিন্তু দেখা যায় কিছু কিছু কোম্পানির প্রতিনিধি না থাকলেও, বড় বড় এন্টিবায়োটিক যেমন এজিথ্রোমাইসিন সেফিক্সিম ছাড়াও ওমিপ্রাজল, মন্টিলুকাস্ট গ্রুপের ওষুধের মতো  কোনরকম ডিপোর সিল ও  এম.পি.ও কোড ব‍্যতীত মার্কেটে সচরাচর বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ। ফার্মেসি মালিক গন কেনার সময় কম মূল্যে পায় এবং  তা বিক্রির সময় অধিক মুনাফা হাওয়াই এই ওষুধগুলোর উপরে দিনদিন ঝুঁকে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট  অনেক  ফার্মেসির মালিকসহ পল্লী চিকিৎসকগন ।

মানুষ যখন অসুস্থ হয় সে তখন সৃষ্টি কর্তার উপরে ভরসা রাখেন  তারপরে ডাক্তারের কাছে আসে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য। কিন্তু সম্প্রতি সময় দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু  ওষুধের প্যাকেট কোন  শীল স্বাক্ষর নাই।  ঔষধে কাজ করছে কি করছে না সেটা বড় কথা না ঔষধটি আসল কি নকল  সেটা তো বোঝার উপায়ই নাই।অনেক সময় ডাক্তার নিজেও জানেনা ওষুধ গুলো কোথা থেকে তৈরি  হচ্ছে।

এক কোম্পানীর প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা গেছে  অনেক ব্যক্তি আছে যারা ব্যবসা করে ঢাকা মিটফোট থেকে ওষুধ কম মূল্যে কিনে আনে এবং কম মূল্যে ফার্মেসির মালিকগণের কাছে বিক্রি করে। দাম কম হাওয়াই তারা তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে।

ঘুড়তে ঘুরতে  চিৎলা রুইথনপুর বাজারে এমন এক ব্ল্যাক এ ব্যবসা করা ব্যক্তির সাথে দেখা  হয়ে গেল। তার পরিচয় জানতে চাইলে সঠিক কোন তথ্য দেননি। তিনি বললেন শুধু আমি নয় বড় বড় ফার্মেসি যেগুলো পাইকারি ব্যবসা করে তারাও ঢাকা মিটফোর্ড  থেকে কম দামের এসব ওষুধ গুলো নিয়ে আসে। তার  কাছে জানতে চাওয়া হলো আপনি যে ওষুধ নিয়ে আসছেন এগুলো  কোন অফিস থেকে নিয়ে এসেছেন তার একটা প্রমাণ দেন। তিনি  কোন কিছুই সঠিকভাবে উল্লেখ করতে পারিনি।অনেক অনেক কোম্পানি এজিথ্রোমাইসিন  ট্যাবলেট ৮ থেকে১০ টাকা মূল্যে ক্রয় করে ফার্মেসির মালিক সেগুলো৩০  থেকে ৩৫  টাকায় প্রতিপিছ বিক্রি করে  ।অথচ অন্য কোম্পানি ৩০ টাকার নিচে সচরাচর পাওয়া যায় না। তাহলে কি থাকতে পারে এই  ঔষধের ভেতর।

আলমডাঙ্গার ফারিয়ার সভাপতি রফিকুল  ইসলাম  বলেন,ড্রাগ সুপার যদি বলে এমপিও কোড ও ডিপো কোড ব্যতীত কোন ওষুধ ফার্মেসিতে রাখা যাবে না তাহলে খুব দ্রুতই এইসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।

সাধারণ মানুষের দাবী সরকার যদি একটু তৎপর হয় তাহলে অনেক অলি গলির ভিতরে নকল ওষুধ তৈরির কারখানা গুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং ফার্মেসিগুলোকে নির্দেশ দেন কোন অফিস বা ডিপোর সিল এবং এম.পি.ও কোড ব্যতীত কোন ওষুধ ফার্মেসিতে রাখা যাবে না। তাহলেই অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব এসব নকল ওষুধ গুলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.