আলমডাঙ্গায় আন্তঃজেলা মোবাইল চোর চক্রের মূল হোতাসহ ১০ জন গ্রেফতার

0 ১,০২২

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা  মোবাইল চোর  চক্রের মূল হোতা রুপকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন জাইগায় অভিযান চালিয়ে আরো ৭,জনকে মোবাইলসহ  গ্রেফতার করে পুলিশ।

গতকাল ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে  আলমডাঙ্গা হাউসপুর ব্রীজ হতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃরা হলো ১.মোঃ আশিকুজ্জামান রূপক(২৭), পিতা -মৃত স্বাধীন খন্দকার, গ্রাম-ঘোষবিলা, ২. শ্রী সুবেন্দ্র কুমার সাহা,পিতা শ্যামল কুমার সাহা, কলেজ পাড়া,৩.মোঃ মন্জুরুল ইসলাম(৩৮), পিতা-আবুল কাশেম,সাং- এরশাদপুর, ৪.মোঃ আজহারুল ইসলাম আকাশ (২৫), পিতা-আজিবুর রহমান,  কলেজ পাড়া, ৫.শ্রী সুভাস সাহা(৩০), পিতা- সুবেন্দ্র  সাহা,কলেজ পাড়া,৬. শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস(২০), পিতা-নিতাই কুমার বিশ্বাস, মাদ্রাসাপাড়া, ৭.শ্রী বিশ্বজিৎ অধিকারী(২২), পিতা প্রেমানন্দ অধিকারী,ক্যানেলপাড়া, ৮.মোঃ নাহিদ হাসান (২০),পিতা-সোলাইমান হোসেন, রথ তলা, ৯.মোঃআব্দুল্লাহ (৩০),পিতা-  মহন আলী, বাবু পাড়া, উভয়ের থানা আলমডাঙ্গা, জেলা চুয়াডাঙ্গা।

১০.মোঃশাহীন রহমান ডন (২৪), পিতা- রেজাউল করিম, গ্রাম-শংকরদিয়া, ইবি থানা,জেলা- কুষ্টিয়া।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার হাউসপুর বাজারে ব্রীজের সামনে হতে আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের কয়েকজন সদস্যরা  চুরি করা ফোন নিয়ে যাচ্ছিলেন।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগে থেকেই পুলিশ সজাগ ছিলো । লোকেশন ট্রাক করে হাউসপুরে পৌছালে হাউসপুর ব্রীজ মোড় হতে  মুলহোতা রুপকসহ তাদের ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ  ।পরে  তাদের দেওয়া  তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ টি চোরাই মোবাইল ফোনসহ আরও ৭জনকে  গ্রেপ্তার করা হয় ।

গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বিভিন্ন এলাকায় তাদের বিচরন ছিলো।আর অভিনবভাবে চুরি করার জন্য তারা  ষ্টেশন, মার্কেট,ক্যাম্পাস,রাস্তায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নিত।আগে থেকেই  মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীকে টার্গেট করতো । তাদের কাছ থেকে রিং দেওয়ার নাম করে, অথবা না জানিয়ে  নিজেদের ছবি তোলার অজুহাতে তাদের ফোন চেক  করে। ছবি তুলেছে কি  যাচাই করার নাম করে ফোন নিয়ে পালিয়ে যেত।

যেখানে এরকম কার্যক্রম চালায় সেখানে আগে থেকেই একাধিক সদস্য বিভিন্ন জায়গায় সেট হয়ে থাকে। সাথে একজন দক্ষ মোটরসাইকেল চালক থাকে সার্বক্ষনিক সজাগ থাকে পালানোর জন্য।আরও সদস্যরা ঘটনাটি শোনার চেষ্টা চালিয়ে অন্যদিকে প্রভাবিত করতো। সারা বাংলাদেশে চোর চক্রের সাথে তাদের সম্পর্ক রয়েছে বলে তারা জানান। চুরি করা ফোন ছাড়াও বিভিন্ন রকম চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করে আসতো বলে জানা গেছে ।
মোঃ আশিকুজ্জামান রূপক, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান  ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বলে জানান।মূলত তিনিই সকল চুরির মাষ্টার মাইন্ড ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.