ইআইইসিডি প্রকল্প পরিদর্শন করলেন বিএমডিএ’র  চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান

0 ৭৭

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ডিপ সেচ পদ্ধতি প্রচলন (ইআইইসিডি) শীর্ষক প্রকল্প পরির্দশন করেছেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান। রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর জোন অফিসে এ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।

বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনা যে ভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শুধু মাত্র তার দূরদর্শী চিন্তার ফলে এত দূত বাংলাদেশ এখন উন্নতবিশ্বের কাতারে পৌছিয়ে গেছে। দেশে আজ মানুষ খাদ্যের অভাবে না খেয়ে থাকেনা মানুষ। আজ তিন বেলা খাবার খেয়ে জীবন যাপন করছে। এই উন্নয়ন শুধু শেখ হাসিনা সরকার এর ফলে সম্ভম হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে আগে যেখানে পানির জন্য সকল জায়গায় ফসল ফলাতে অনেক সমস্যা হত সেখানে এই রকম যুগোপযোগী প্রকল্প গ্রহন করার ফলে কৃষক এখন আর পানির অভাব বুঝতে পারবে না, কৃষক এখন সঠিক সময় তারা তাদের পানি পাবে এবং ফসল ফলাতে পারবে।

তাই বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট নিরসনে রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরে ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে ৫০০ থেকে ৬০০ বিঘা অতিরিক্ত জমি সেচের আওতায় এসেছে। ফলে মানুষ ফসল উৎপাদন করতে সহজে পানি ব্যবহার করতে পারছেন। তাই আমাদেরকে সব সময় চিন্তুা করতে হবে অল্প খরচে কি ভাবে কৃষককে সর্বচ্চো সেবা দেওয়া যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিশেষে আমরা সকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে সবসময় কৃষকের পাশে থাকতে হবে এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কোন ধরনের সমস্যা হলে তা দ্রূত সময়ের মধ্যে তা সমাধান করতে হবে। তাহলে আমারা সোনারবাংলায় পরিনত করতে পারবো আমাদের দেশকে।

ইআইইসিডি প্রকল্প পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান জানান, ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ডিপ সেচ পদ্ধতি প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৬ টি জেলার ১২৫টি উপজেলার ৫০০ মিটার চল্লিশ হাজার ৫০০ টি গভীর নলকূপের পাইপ নালা বৃদ্ধি করা হবে। ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ হবে জুন ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত। যার মাধ্যেমে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির আবাদ বাড়বে। যার ফলে অনেক ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া সেই ভাবে সম্ভব হতো না কিন্তু এই প্রকল্পের ফলে সেই সমস্যা গুলো দূরহবে এবং কৃষক লাভোবান হবে।

পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইআইইসিডির প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান, বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্পের (আইপি) প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরল ইসলাম সেচ অবকাঠামো প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম রেজা, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাকিনা খাতুন পারুল, গোমস্তাপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী নাইমুল হাসান, নাচোল জোনের সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, গোমস্তাপুর জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী রিয়াজ উদ্দিনসহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.