এখন তো হাওয়া ভবন নেই, দেশ ও মানুষের কথা ভাবুন : প্রধানমন্ত্রী

৮৫
গণভবনে বুধবার সকালে ভোগ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৯-এ সরকার গঠনের পর আমাদের ব্যবসায়ীরা সে যে দলেরই হোক, আমরা কিন্তু ওখানে দল বাছতে যাইনি। যে দলেরই হোক যাতে তারা ব্যবসাটা ব্যবসায়ী হিসেবে করতে পারে, সেই পরিবেশটা কিন্তু আমি সৃষ্টি করে দিয়েছি। এখন তো হাওয়া ভবন নেই, তাই আপনাদের দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে হবে।’

গণভবনে বুধবার সকালে ভোগ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই যে, হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে বা অমুক জায়গায় দিতে হবে। এই যন্ত্রণা তো আপনাদের ভুগতে হয় না এখন। এটা তো আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন। সেই যন্ত্রণা থেকে তো সবাই মুক্ত।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন প্রফিটের (লাভ) ব্যাপারে চিন্তা করেন। আগে তো একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেত। এখন আর সেই হাওয়া হওয়ার ব্যবস্থাটা নেই। সেখান থেকে সবাইকে মুক্ত রেখেছি। তো সেটাই মাথায় রেখে যদি মনে করেন যে, না দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে…।’

১৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লাভের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু করোনার সময়ও সেটা মোকাবিলা করলাম। প্রণোদনা দিলাম, বিশেষ প্রণোদনা, আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেননি; কেউ বলেননি, কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটা টিম খুব ভালো কাজ করছিল যে, কোথায় কী করা যেতে পারে, আমার অর্থনীতির চাকাটাকে চলমান রাখতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে তাদের ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ, তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ। আমরা বলেছি আমরা এখানে বন্ধ হতে দেব না; আমার এখানে চালু রাখতে হবে। শ্রমিকদের বেতন, এই যে গার্মেন্টস, তার বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।’

এসময় গণভবনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান প্রমুখ।

Comments are closed.