স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘বাংলাদেশ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনা মোকাবিলা করতে সক্ষম হচ্ছি। দেশে যখন করোনা এল তখন একটিমাত্র ল্যাব ছিল করোনা পরীক্ষার জন্য। মাত্র দেড় বছরের মাথায় সারা দেশে একটি থেকে সাড়ে ৭০০ ল্যাব প্রস্তুত যেনতেন কথা নয়।’
আজ শনিবার দুপুরে শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামের মাঠে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেইসঙ্গে দেশে যখন করোনা দেখা দেয় তখন একটিও করোনা চিকিৎসার বেড ছিল না। এখন ১৭ হাজার করোনার বেড। আর দুই থেকে তিনটা হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল। এখন ১১০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত পরীক্ষার অভাব হয় নাই, অক্সিজেনের অভাব হয় নাই, এমনকি বেডেরও অভাব হয় নাই।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনায় মানুষের চিকিৎসার যে অভাব আমরা দেখেছি তা আমাদের দেশে হয়নি। ভারতে বেডের অভাব, টেস্টের অভাবে এমনকি অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় রোগী মারা গেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই লকডাউনের ঘোষণায় প্রতিবাদ, আন্দোলনসহ ভাঙচুর করেছে সে দেশের মানুষেরা। কিন্তু আমাদের দেশে সুষ্ঠুভাবে লকডাউনের নির্দেশনা মানা হয়েছে।’
এ সময় মন্ত্রী ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন। বঙ্গবন্ধুর হাতেগড়া ছাত্রলীগকে আরও সুসংগঠিত করে রাখতে কাজ করার তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কৌঁসুলী আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা প্রমুখ।
Comments are closed.