কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পানি নিষ্কাশণের মুখে বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় হাজার বিঘা জমি

৩০২

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে উপরে বাড়ি নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে হাজারো জমির মালিক। দুইহাজার বিঘা আবাদি জমির পানি নিষ্কাশণের মুখ বন্ধ করায় পতিত জমির মালিকরা প্রতিকার চেয়ে জেলা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসীরা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাধীন যাদুরচর ইউনিয়নের ডিসি রোডের পশ্চিম অংশটিতে। ডিসি রোডের পশ্চিম পাশে অবস্থিত গ্রাম এলাকা কোমরভাঙ্গী, ধরারচর, টাংড়া পাড়া, মধ্যপাড়া, বাইমমারী, আকন্দ পাড়ার, গোলাবাড়ী,দিঘলা পাড়া, সরকার পাড়া, চাকতাবাড়ীসহ প্রায়ই ২০ টি গ্রামের কয়েক হাজার একর আবাদি জমি জলাবদ্ধ¦তার কারনে আবাদ করতে পারছেনা চাষিরা।

পানি নিষ্কাশনের রাস্তায় বাধাগ্রস্ত করায় ফসলি জমির আবাদ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

পানি নিষ্কাশনের দাবিতে প্রতিকার চেয়ে জেলা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি এলাকার বাসিন্দারা।

ইতিপূর্বে পানি নিষ্কাশনের দাবিতে ডিসি রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখে ক্ষিপ্ত জনতারা, খবর পেয়ে ছোটে আসে ততকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান,উপজেলা পরিষদের ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, আইনশৃংখলা বাহির ততকালীন রৌমারী থানার ওসি মোনতাছের বিল্লাহসহ আরও অনেকেই। ঘটনাস্থলে আসার পর ক্ষিপ্তজনতাদের প্রতিকারের আশ্বাস দিয়ে অবরুদ্ধিত ডিসি রোড থেকে জনগনকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন দেন। ততকালীন উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসের বানি রহস্যজনক কারণে বৃন্ধমাত্র প্রতিকার পায়নি ভক্তভোগিরা। আবশেষে প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পতিত জমির মালিকরা। দিশেহোরা জমির মালিকরা উপজেলায় কোনপ্রকার প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ জেলা, উপজেলায় প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

তাঁরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মেজবাউল ইসলাম, বাংলা টিভির রৌমারী প্রতিনিধি মাহজারুল ইসলাম, ভুক্তভোগি এলাকার অনেকেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে আংশ নেন। পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণে হাজার হাজার একর আবাদি জমি অকেজো হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

ধনারচর গ্রামের ভুক্তভোগি কৃষক মোগল হোসেন,জাবেদ,জসিম,আমেনা খাতুনসহ আরও অনেকেই জানান যাদুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী তার আত্মীয়দের মিনি সুইসগেইটের মুখে মাটি ভোরাট করে বাড়ি করান। যার কারণে পানি নিষ্কাশনের মুখটি বন্ধ হওয়ার ফলে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আবাদ করা ব্যাহত হচ্ছে ফলে সরকারের কাছে দাবি সুইসাইটের মুখ খোলে জনগণের সুযোগ করে দিবেন। পাশাপাশি হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ঘরে তুলতে পাড়েননি কেউ এরো বিচার দাবি করেছেন তারা।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বাংলা টিভিকে জানান এখানে পানি নিষ্কাশনের দুটি কালভার্ট ছিলো সেগুলো বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করায় এই জমি গুলোতে ফসল চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ।
এবিষয় আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি আশা করি প্রতিকার পাবেন কৃষকরা।

পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ভুক্তভোগি কৃষকদের প্রতিকারে কি ধরনের আশ্বাস দিবেন প্রশ্নের জবাবে তিনি তার বক্তব্যে বলেন এবিষয় ডিসি মহোদয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে এর একটা বিহিত করবো যাতে করে কৃষকরা ফসল ফলাতে পারে এব্যবস্তা নিবেন এমন আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

Comments are closed.