কুড়িগ্রামের রৌমারী রিফাত ইষ্টাইলে খুনের ঘটনায় ৬দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

0 ৩৭৫
প্রধান খুনি শহিাব এর ছবি

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: এরশাদ নামে খুন হওয়ার গত ৬ দিন অতিবাহিত হলেও অপরাধীদের কাওরেই গ্রেফতার করতে পারেননি পুলিশ ।একই সাথে দুজন ঢাকার উদ্ধ্যেশে বাড়ী থেকে রওনা হয়েছিলেন এরশাদ (২৬) মাসুদ রানা (২০) নামে হঠাৎ করে পিছুন থেকে রিফাত স্টাইলে এরোপাতারিভাবে এসে কুপিয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। দুজনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এরশাদ নামে।

মৃত্যু ভেবে আহত মাসুদকে ফেলে রেখে চলে যায় খুনি শিহাব নামের গংরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে রৌমারী হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হয়। মৃত্যুসজ্জায় কোন মতে প্রানে বেচে থাকলেও কথা বোলার ভয়েস নেই মাসুদ রানার। এমতাবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা দিলেও অর্থের অভাবে রিলিজ নিয়ে মাসুদকে বাড়িতে নিয়ে আসে।

অপরদিকে খুনির হাতে বলি হওয়া মৃত্যু এরশাদের পরিবারের অভিযোগ আজ এক সাপ্তাহ হয়ে গেলো আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করলেও এঘটনায় আসামিদের কাওকেই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এদিকে আমরা আসামিদের নাম উল্লেখ্য করলেও ৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে এপর্যন্ত আসামিদের বাড়িতে যায়নি পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনরা। মৃত্যু এরশাদের স্ত্রী লাকি বেগম তার বক্তব্যে বলেন কেন অপরাধিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে আরো বলছেন এভাবে যদি হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আইনশৃংখলা বাহিনীরা ঢিলেঢালাভাবে চলতে থাকে তাহলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ২০-০৬-২১ ইং রাত্রি আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার খেওয়ার চর গ্রাম নামকস্থানে। এলাকা সুত্রে জানা গেছে খুনি শিহাব একই গ্রামের মিটন এর পুত্র গংসহ রিফাত ষ্টাইলে খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

এপর্যন্ত কাওকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরশাদের স্ত্রী লাকি আক্তার বলছে আমার জেটাতো বোন বিপাসার সঙ্গে আমার স্বামীর প্রেমের গোপন ঘটনা ছিলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। শিহাব নবাবগঞ্জ থানায় তার বাবা মাসহ সেখানে সবাই শিহাবের নানার বাড়িতে থাকে। ওখান থেকে এসে আমার স্বামীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আরো জানা গেছে শিহাবের বড় বোন লিমার সঙ্গে বিপাসার ভাই রাসেল এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এই লিমা শিহাবের বড় বোন মিটনের মেয়ে। মিটনের মেয়ে একই গ্রামের বদিউজ্জান এর ছেলে রাসেল এর সঙ্গে বিয়ে হয়। শিহাব একজন নবাবগঞ্জ এলাকার ভাড়াটে খুনি বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এবিষয় অভিযোক্তদের কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এরশাদের বাবা সুরুজ্জামান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা, সঙ্গে যাওয়া ভাতিজাকেও হত্যার চেষ্টা দুটি বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। এবিষয় রৌমারী থানা ইনর্চাজ মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন এঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.