কে কাকে ভোট দিচ্ছেন, সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় না : ইসি

১৯৭

‘সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে ভোটারের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি’ দাবি করে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটগ্রহণে কোনো অনিয়ম হয় কি না, সেটি দেখার জন্য ক্যামেরা বসানো হয়েছে। গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন সেটি ক্যামেরায় দেখা যায় না।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্য অনুযায়ী কেউ কেউ বলছেন, ‘নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছেন তা দেখেছে; যা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন’। প্রকৃত বিষয় হলো ভোটের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইসি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল।

গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে গোপনকক্ষে ভোটারের সঙ্গে অন্য কেউ প্রবেশ করছে কি না, একইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করলো কি না, ভোট প্রদানের সময় কেউ উঁকি দিয়ে দেখে কি না বা পাশে দাঁড়িয়ে কোনো নির্দেশ প্রদান করে কি না, তা দেখা যায়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৩১(৭) ধারা অনুযায়ী ভোটার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বা অন্যভাবে এরূপ অক্ষম হন যে, তিনি কোনো সঙ্গীর সাহায্য ছাড়া ভোট প্রদান করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসার ওই ভোটারের পছন্দমতো ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে তার ভোটপ্রদানে সাহায্য করার জন্য গোপন কক্ষে নিতে পারবেন। তার সঙ্গে কোনোভাবেই কোনো ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কোনোক্রমেই ভোটপ্রদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয়নি।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হয়। ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতি দেখতে পেয়ে মাত্র কয়েকঘণ্টার মাথায় ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।

Comments are closed.