গরু হৃষ্ট পুষ্ট করণে ব্যস্ত পুঠিয়ার খামারী জয়নাল

0 ৫০৩

 

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু হৃষ্ট পুষ্ট (মোটাতাজা) করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর পুঠিয়ার গরু খামারীরা। রাজশাহী জেলায় সবচেয়ে বড় দুইটি গর হৃষ্ট পুষ্ট (মোটাতাজা) করে খুশি রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন। দুই বছর থেকে তিনি দুইটি গরু নিজ বাড়ীতে খামারের মাধ্যেমে লালন পালন করেছেন। গরু দুইটি অনেক বড় হওয়ায় ভালো দাম পাবেন বলে আসা করেন তিনি।

জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়ার ধোপাপাড়া গ্রামের গরুর খামারি জয়নাল আবেদীন। তিনি প্রায় ২ বছর আগে ফিজিয়ান ও শাহীওয়াল জাতের দুইটি আইরা গরু ক্রয় করেন। নিজের বাড়িতে কর্মচারীর পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা মিলে গরু দুইটিকে লালন পালন করে আসছেন।

তবে তিনি অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে কাঁচা ঘাস, খড়, গম, বুট, খুদের ভাত, খৈল-ভুষি খাইয়ে গরু হৃষ্ট পুষ্ট (মোটাতাজা) করছে। তবে গরু দুইটি অনেক বড় হওয়ায়, এলাকার অনেক মানুষ দেখার জন্য ভীর করেন তার বাড়ীতে। খামারী জয়নাল আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে গরু দুইটি বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে প্রস্তুত করেছেন। তবে গরু দুইটি বিক্রয় করে ভালো আয় করবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

জয়নালের গরু পালন দেখে অনেকে গরু পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। আর এই পদ্ধতিতে গরু পালন করে লাভবান হচ্ছে অনেকে। এ বছর কোরবানির জন্য অনেক গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। আর খামারীদের সব ধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছে বলে জানান প্রাণিসম্পদ অফিস ।

গরুর খামরী মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, আমি এই গরু দুইটা মোটামুটি ২ বছর ধরে লালন পালন করছি। অসাধু পন্থা অবলম্বন না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে কাঁচা ঘাস, খড়, গম, বুট, খুদের ভাত, খৈল-ভুষি খাইয়ে যতটুকু মোটাতাজা করার দরকার সাবেক নিখুত খাদ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত করতে পারছি।

এলাকার ইউপি মেম্বর শামিম হোসেন জানান, জয়নালের গরু মোটাতাজা করণ দেখে অনেক আগ্রহী হচ্ছে এবং গরু পালন করছে।

উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাবুল আকতার মোল্লা জানান, আমরা সর্বক্ষণিক এলাকায় যায় এবং খোঁজ খবর রাখি। তবে আমার জানামতে সেই গরু দুইটা কে কোন প্রকার ঔষধ বা ইনজেকশন ছাড়াই প্রকৃত ভাবে লালন পালন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, উপজেলা প্রাণী-সম্পদ দপ্তর রাজশাহীর পুঠিয়া আওতাধীন ২ হাজার ৬ শত ৮০টির মত গরু মোটাতাজা করণ খামারী রয়েছেন। এবং তাদেরকে আমরা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন স্বোচ্ছা সেবী ও আদের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও দপ্তরি মিলে সার্বক্ষণিক তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে চলেছি।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে এই পুঠিয়া উপজেলার যা চাহিদা তার থেকে আমাদের যোগান বেশি আছে। আমরা আশা করি এই যে যারা খামারী ভাইয়েরা আছে তারা আসন্ন কুরবানির ঈদ পশু গুলো বিক্রয় করে এবং তারা আশানুরুপ একটা ফলাফল পাবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.