চাটমোহরে এক গৃহবধু জিনের বাদশার’ খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত

0 ১৮৪

আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে: পাবনার চাটমোহরে এক গৃহবধু জিনের বাদশার’ খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাতারাতি রড়লোক করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে সর্বশান্ত করেছে কথিত ‘জিনের বাদশা’ নামের একটি প্রতারক। গত এক মাস যাবৎ উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের চকউথুলী গ্রামের জুলু প্রামাণিকের স্ত্রী জাহানারা খাতুন প্রতারক সিন্ডিকেটকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে।

প্রতারণার শিকার গৃহবধূ জাহানারা খাতুন বলেন, ‘‘গত এক মাস আগে আমার মোবাইল ফোনে একটি ফোন কল আসে এবং এক ব্যক্তি কোরআন হাদিসের আলোকে আমার সাথে কথা বলে। এরপর সে বলে, ‘আমি আলী ও আমার স্ত্রী ফাতেমা পৃথিবীতে এসেছি মানুষের মঙ্গল করতে। অভাবী, দুঃখী মানুষদের অর্থ, সোনা, হীরা মতি দিয়ে বড় লোক করে দিতে।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করবে সেই পাবে আমাদের সাহায্য। এর জন্য নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে মাজারে গরু কোরবানি দিতে হবে। তুমি যদি কোরবানি দিতে চাও তাহলে কালকের মধ্যে আমার বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাও’।

জাহানারা খাতুন বলেন, ‘এভাবে নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে সোনা,টাকা পয়সা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে সর্বমোট ২ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আমি পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ঘরে রাখা সকল টাকা এবং আশপাশের প্রতিবেশীদের নিকট থেকে ধারদেনা করে এত টাকা দিয়েছি।

তারা আমাকে বিষয়টি কাউকে কিছু না বলার জন্য বারবার বলেছিল তাই কাউকেই কিছু বলিনি। এখন তারা আর আমার সাথে যোগাযোগ করছে না। প্রতারকের মোবাইল ফোনটিও এখন বন্ধ। ঋণের দায়ে দিশেহারা ওই গৃহবধূ।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে ওই গ্রাম থেকে একজন আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল। আসলে এখানে জিনের বাদশা নাম দিয়ে কোনো প্রতারক চক্র এমন কাজ করে থাকতে পারে।

তবে এ বিষয়ে থানায় এসে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.