জয়পুরহাটে শিশুকে মারধরের ৩ দিন পরে মৃত্যুর অভিযোগ

0 ১৫৩

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দহতপুর গ্রামে মারধরের তিনদিন পরে শ্রাবন্তী (০৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ মারধরের কারণেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

রোববার (০৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মারা যায় শিশুটি। নিহত শিশু দহতপুর গ্রামের বিমল মাহাতোর মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী বীর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী।

শিশুটির পরিবারের দাবি, চারদিন আগের মারধরের ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ে হত্যার বিচারও চান শিশুটির পরিবার।

নিহত শিশুর বাবা বিমল মাহাতো বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাড়ির পাশের জমিতে প্রতিবেশী শটিক মাহাতোর ছেলে দ্বীপ (১২) ও আমার মেয়ে শ্রাবন্তী মাছ ধরছিল। এ সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে দ্বীপ আমার মেয়েকে ধাক্কা দেয়। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনাটি জানালে আমি গিয়ে দ্বীপকে কঞ্চি দিয়ে তার পায়ে দুইটা বারি দিয়ে শাসন করে চলে আসি।

এরই জেরে দ্বীপের বাবা শটিক মাহাতো তার পরিবারের লোকজন নিয়ে এসে আমার মেয়েকে মারধর করে এবং আমাদের গালিগালাজ করে চলে যায়। তাদের মারধরের কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ে অসুস্থ অনুভব করে তখন মেয়েকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তিনদিন চিকিৎসা শেষে রোববার বাড়ি ফেরার পরেই আমার মেয়ে মারা যায়। আমি এই হত্যার বিচার দাবি করছি।

এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে শটিক মাহাতো বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ করেছেন সেটি মিথ্যা। ওই দিন আমার ছেলেকে মারার ঘটনায় তাদের বাড়িতে গেলে উল্টো আমাকে বিমল মাহাতো কোদাল তুলে মারতে আসেন। আমি ওই শিশুকে মারধর করিনি।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল বলেন, পেটে ব্যথা নিয়ে শ্রাবন্তী নামে এক মেয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে কিছুটা ভালো অনুভব করায় শনিবার তার বাবার অনুরোধে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। শুনেছি আজ তার মৃত্যু হয়েছে।

পাঁচবিবি থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শটিক মাহাতোকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.