জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

৩৪৬
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : সংগৃহীত

জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপির উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘ইভিএম পরের ব্যাপার কেন? আপত্তি কোথায়? পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। আপনারা কি নির্বাচনে কারচুপি করতে চান? কারচুপি, জালিয়াতি এড়ানোর জন্যই ইভিএম ব্যবস্থা হচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপি-জালিয়াতি ঠেকাতে ইভিএম ছাড়া আধুনিক আর কোনো পদ্ধতি নেই। এখানে আপত্তি কেন থাকবে? পদত্যাগ কেন করতে হবে? কী কারণে, আমরা কী অন্যায় করলাম?’

কাদের বলেন, ‘আমরা বলতে চাই জনগণের কথা। দেশের মানুষ ১৩ বছর বিএনপি ও তাদের জোটের হাঁকডাক শুনেছে। কিন্তু, পানি ঘোলা করে অবশেষে তারা ডায়লগেও এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। এবারও সেই একই কথা নতুন করে বলছেন।’

এসময় বিএনপির উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো দরকষাকষি করে লাভ নেই। সরকার সংবিধান থেকে নড়বে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, ঠিক সেভাবেই সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি যেসব কথা বলছে, দর কষাকষির জন্য বলছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের আর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে যদি জনগণ আপনাদের ভোট দেন, নির্বাচিত করে বা আমরা হেরেও যাই, তারপরও এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সব সময় থাকব। জনগণকে আস্থায় নিয়ে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল নির্বাচন আমরা করব। জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। বিএনপিকে আমরা বলব, এদিক-সেদিন দর কষাকষি না করে, নির্বাচনে আসুন।’

বিএনপির নির্বাচনে আসার বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন, দলের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। তাঁদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।’

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাদের গুলি করার বিষয়টি তুলে কাদের বলেন, ‘কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিবের ওপরে হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব একটি বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা প্রথমত বলতে চাই, এ হামলার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। শেখ হাসিনার আমলে কোনো ধরণের অপকর্মকারীদের ছাড় দেননি। এখানেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

এ ঘটনাকে অভিযুক্ত করে ফখরুল সাহেব অন্ধ সমালোচনা বিষদগার করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্বভাবসুলভ বরাবরের মতোই। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এলডিপির মহাসচিব নিজ হাতে আমাদের কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুজন কর্মীকে গুলি করেছেন। তাঁরা এখনো হাসপাতালে। এ বিষয়ে ফখরুল সাহেব একটি শব্দও বলেননি। পুরোপুরি চেপে গেছেন। এটা কি রাজনৈতিক সততা? এটা কি গণতন্ত্র?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেব আজকাল সব কিছু একচক্ষু হরিণের মতো দেখেন। না হলে এলডিপির মহাসচিবের গুলি ছোড়ার বিষয়টি তিনি দেখতে পেতেন। তাঁর বিবৃতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, সত্য লুকিয়ে শিবের গীত গাওয়ার জন্য।’

Comments are closed.