ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং বাড়াতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

৯৭

বিদেশ থেকে ডিম আমদানি নয়, ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে যা আমরা চাই না। তাই বিদেশ থেকে ডিম আমদানির প্রয়োজন নেই। একটু কষ্ট হবে, কম খাব। তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে ডিম উৎপাদন করে খেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরবরাহ কমে গেছে বলে দাম বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু হ্যাচারি মালিক ডিমের বাজার অস্থির করেছে। তাই ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।‘

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, উদ্বোধনী এ কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১৩-১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তিসহ মোট এক হাজার ২৩৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এ প্রযুক্তিগুলো উদ্ভাবনের জন্য সব ধরনের ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, কৃষি সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম।

এর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক কৃষি প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও ফসল প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.