দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলার সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা

0 ৪৪০
মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুর: দিনাজপুরে পর্যায়ক্রমে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হার। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় করোনা আক্রান্তের হার ছিল মাত্র ১.৫১ শতাংশ। সেখানে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৬ শতাংশে।  শুধু তাই নয়, যেখানে ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলাই ছিল করোনামুক্ত, সেখানে এখন করোনায় আক্রান্ত উপজেলার সংখ্যা ৫টি। এমন পরিস্থিতিতে দিনাজপুরে শিল্প ও বাণিজ্যমেলা উদ্বোধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে প্রশাসন হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়।
শনিবার (১৩ই মার্চ) বিকেলে ঐতিহাসিক গোড়-এ শহীদ ময়দানে এ মেলার উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল, ফলে জনমনে দেখা দিয়েছিল প্রশ্ন। তবে অবশেষে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলার সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার বিকেলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ দিনাজপুর জেলা কমিটির সভায় মেলার কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, জেলা প্রশাসক ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিপিএম পিপিএম (বার), দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ও প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুর কুদ্দুছ, দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি সুজাউর রব চৌধুরী, মেলা কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বাবু উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সর্তকতা হিসেবে বাণিজ্য মেলা করা যাবে না। স্বাস্থ্য বিভাগের সাম্প্রতিক নির্দেশনা মেনে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও এই মুহূর্তে মেলা বা বড় ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জনগণের স্বার্থে তাই বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হলো।
জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় দিনাজপুর শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করা সম্ভব নয়। মেলা উদ্বোধন হলে দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই মেলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলায় ৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে আক্রান্ত ছিল মাত্র একজন। অর্থাৎ আক্রান্তের হার ১.৫১ শতাংশ। অথচ ৭ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৬ শতাংশে। রোগীর সংখ্যা ৪ জনের স্থানে বেড়ে হয়েছে ২১ জনে। দ্বিতীয় এই সপ্তাহে জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৯৮ জনের। তাদের মধ্যে ১৯ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.